The Chief Election Commissioner and Other Election Commissioners (Appointment, Conditions of Service and Term of Office) Bill, 2023

নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল পাশ রাজ্যসভায়, ওয়াকআউট বিরোধীদের

জাতীয়

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার বিল মঙ্গলবার  পাশ হয়েছে রাজ্যসভায়। বিলে আপত্তি জানিয়ে ওয়াকআউট করেছেন বিরোধীরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বদলানোর হয়েছে বিলে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং দুই নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ের কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে সদস্য করতে বলেছিল শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির বদলে কমিটির সদস্য করার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার কোনও সদস্যকে রাখার কথা বলা হয়েছে বিলে। তা নিয়েই প্রধান আপত্তি ছিল বিরোধীদের। 

মার্চ মাসে বিচারপতি কেএম জোসেফের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ে বলা হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রধান বিচারপতি এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে গঠিত একটি প্যানেল মুখ্য-নির্বাচন কমিশনার সহ কমিশনের অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়োগের সুপারিশ পাঠাবে রাষ্ট্রপতিকে। রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করবেন। নির্বাচন কমিশনের বিরপেক্ষতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠায় ওই রায় দেয় বেঞ্চ। তবে বলা হয় যে সংসদে নতুন আইন না আসা পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালু থাকবে। 

বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হাজার বিরোধিতা সত্ত্বেও একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে রাখা হচ্ছে প্যানেলে। প্যানেলের কাছে পাঁচজনের নাম পাঠাবে সার্চ কমিটি। এই সার্চ কমিটির প্রধান হবেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী। বিলে তার উল্লেখ রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনারদের বেতন সংক্রান্ত কয়েকটি সংশোধনী করা হয়েছে বিলে। আগস্টে মূল বিলটি পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল।  


সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সমান পদমর্যাদা পেতেন মুখ্য-নির্বাচন কমিশনার এবং বাকি দুই নির্বাচন কমিশনার। প্রস্তাবিত বিলে সেই মর্যাদা তুলে নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। পদমর্যাদা নামিয়ে ক্যাবিনেট সচিবের সমান করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় পাশ বিলে নির্বাচন কমিশনারদের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সমান বেতন কাঠামোর সংস্থান রাখা হয়েছে।
সংশোধনীতে উল্লেখ করা হয়েছে যে মেয়াদ থাকাকালীন মুখ্য-নির্বাচন কমিশনার সহ দু’জন নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি মামলা করা যাবে না। 
উল্লেখ্য প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরাইশি এবং অন্যান্য প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনাররাও প্যানেলের গঠন এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবের স্তরে নির্বাচন কমিশনারদের পদ ‘ডাউনগ্রেড’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। 

Comments :0

Login to leave a comment