Twitter Lifts Ban on Donald Trump

ট্রাম্পকে ফেরাচ্ছে টুইটার

আন্তর্জাতিক

Trump Twitter

ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইলে ফিরতে পারবেন টুইটারে। সোশাল মিডিয়া সংস্থার নতুন মালিক ইলন মাস্কই জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত। মাস্কের দাবি, তিনি মতামত চেয়েছিলেন। ৫১.৮ শতাংশ ট্রাম্পকে ফিরিয়ে নেওয়ার পক্ষে। 

২০২১’র জানুয়ারিতে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতির বার্তা বিনিময় আটকে দেয় টুইটার। সে বছরই ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের সমর্থকরা দাঙ্গা বাঁধায় মার্কিন কংগ্রেসের আইন প্রণয়ন শাখার দপ্তরে। ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলের মধ্যে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব প্রায় নজিরবিহীন। আগের বছরই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হেরেছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প।সেই সময়ে রাষ্ট্রপতিও ছিলেন তিনিই। ডেমোক্র্যাট জোট বিডেনের কাছে ভোটের ফলাফলের নিরিখে হার স্বীকার করতে নারাজ ছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন কংগ্রেস বিডেনকে রাষ্ট্রপতি পদে স্বীকৃতি দেওয়ার কাজ চালাচ্ছিল। সেই সময়েই হয় হামলা। 

 

 

৬ জানুয়ারির পর কেবল টুইটার নয়, ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম থেকে ইউটিউব ট্রাম্পের প্রচার বন্ধ রাখে। সোশাল মিডিয়া সংস্থাগুলি প্রায় একসুরে ব্যাখ্যা দিয়েছিল, ট্রাম্প সোশাল মিডিয়ায় তাঁর ভাষণে হিংসায় উসকানি দেন। তার প্রভাবও পড়ে। সোশাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের অনুগামী প্রচুর। পারিবারিক সূত্রে বিপুল সম্পত্তির মালিক ট্রাম্পও নিজের সোশাল মিডিয়া খুলে ফেলেন। নাম দেন ‘ট্রুথ সোশাল’। ট্রুথ বা সত্য বিকৃত করার অভিযোগই বারবার উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। করোনা সংক্রমণের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মানতে নারাজ ছিলেন কেব তা-ই নয়, ব্যঙ্গ করেছেন বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানকে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের বিপদকে আদৌ পাত্তা দেননি ট্রাম্প। 

 

অক্টোবরেই টুইটার কিনেছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ইলন মাস্ক। সোশাল মিডিয়া হিসেবে টুইটারের ধরন বদলে দেওয়ারও বার্তা দেন। মাস্ককে সম্প্রতি জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে ট্রাম্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে কিনা। মাস্ক আবার প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘ট্রাম্প ফিরবেন কি?’’ সেই সময়েই ইঙ্গিত মিলেছিল যে মাস্ক ট্রাম্পকে ফিরিয়ে আনতে চাইছেন। কিছুদিন আগে ট্রাম্প বলেছিলেন যে টুইটার ফিরিয়ে নিতে চাইলেও ফেরার কোনও কারণ দেখছেন না। 

ইলন মাস্ক যে ভোটের কথা বলছেন তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। টুইটার টালমাটাল অবস্থার মধ্যে চলছে। গত সপ্তাহেই টুইটার বিভিন্ন দপ্তর বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি দেয়। তার আগে প্রায় কর্মী ছাঁটাই করেন মাস্ক। প্রতিবাদে বহু দক্ষ প্রযুক্তিবিদ গণইস্তফা দেন। 

Comments :0

Login to leave a comment