রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন শ্রমিক কৃষক খেতমজুররা। দেশের অন্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গের শ্রমজীবীর দবিও প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানোর জন্য জমা দেওবা হবে রাজ্যপালকে। দু’দিন ধরে চলছে অবস্থান। মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর রাজভবনের সামনেই হবে সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন রাজ্যের শ্রমজীবীরা। সোমবার অবস্থানের দ্বিতীয় দিনে রানি রাসমণি রোডে এই ঘোষণা করেছেন সিআইটিইউ পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সভাপতি সুভাষ মুখার্জি। এদিন কলকাতায় অবস্থান মঞ্চে যোগ দিয়েছেন সিআইটিইউ সাধারণ সম্পাদক তপন সেন। ব্যাঙ্ককর্মী থেকে পরিযায়ী শ্রমিক, কৃষক থেকে খেতমজুর আন্দোলন জানিয়েছেন বঞ্চনার কথা।
মুখার্জি বলেছেন, ‘‘বিশ্বাসঘাতক নরেন্দ্র মোদী সরকারকে হটাতে হবে কেন্দ্র থেকে। সেই লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে একত্রিত হয়েছেন শ্রমিক কৃষক সহ মেহনতী মানুষ।’’
সুভাষ মুখার্জি বলেছেন, শুক্রবার বেলা ১ টা থেকে শুরু হবে সমাবেশ। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনের পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে শ্রমজীবীরা মিছিল করে আসবেন সমাবেশে।
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নসমূহ এবং কৃষক সংগঠনগুলির মঞ্চ সংযুক্ত কিষান মোর্চা একযোগে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সারা দেশে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ।
মুখার্জি বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করছে শ্রমজীবীর সঙ্গে। বিশ্বাসঘাতকতা করে চলেছে দেশবাসীর সঙ্গে। এই লড়াই দেশের সবার। কৃষকদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে ন্যূনতম দামে ফসল কেনা নিশ্চিতকরতে আনা হবে আইন। সেই আইন আসেনি। তিন কৃষি আইন ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল সরকার। কিন্তু কর্পোরেট বান্ধব নীতিতে চলে কৃষককের সর্বনাশ করা হচ্ছে। সারের মতো কৃষি উপাদানের দাম সমানে চড়া হচ্ছে।’’
মুখার্জি বলেন, ‘‘আরেকদিকে বঞ্চনার শিকার শ্রমিকরা। শ্রম কোড পাশ হয়েছে, এখনও চালু হয়নি। কিন্তু শ্রম কোডের কোন প্রয়োগ বাকি রয়েছে? ন্যূনতম মজুরি নেই। বারো ঘন্টা কাজ চালু হয়ে গিয়েছে। ধর্মঘটের অধিকার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হতো ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। সেই প্রক্রিয়া বন্ধ।’’
Comments :0