বকেয়া ডিএ’র সঙ্গে তিন দফা দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন সরকারি কর্মচারী, শিক্ষকরা। নেমেছিলেন রাজ্য সরকারি কোষাগার থেকে বেতন পান এমন কর্মচারীদের ত্রিশটির বেশি সংগঠন। বিধানসভা অভিমুখে অভিযান করছিলেন তাঁরা। কর্মীদের ওপরই বুধবার ঝাঁপিয়ে পড়ল পুলিশ। ঘিরে ধরে হাত ধরে ফেলে পেটে ঘুষি পর্যন্ত মারা হলো। আকাশবাণী ভবনের সামনে থেকে কর্মীদের ভ্যানে তুলল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হলো আন্দোলনে নামা কর্মচারীদের। মৌলিক অধিকার চেয়ে আন্দোলনে নামা কর্মীদের ওপর রাজ্য সরকারের মনোভাব এবল পুলিশের হামলায় স্তম্ভিত গোটা রাজ্য। পুলিশের আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। কয়েকদিন আগে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন দমাতে নেমে কামড় বসিয়েছিল মমতা ব্যানার্জির পুলিশই। বিকেলে রানি রাসমণি রোডেই রয়েছেন আন্দোলনে নামা কর্মীরা।
ডিএ’র দাবিতে এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর। রাজ্য কো-ওর্ডিনেশন কমিটি সহ ৩০টি রাজ্য সরকারি কর্মচারি, শিক্ষক, শিক্ষিকাদের যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল। তিন দফা দাবি সংগঠন গুলির পক্ষ থেকে রাখা হয়। তাদের দাবি অবিলম্বে বকেয়া ডিএ পরিশোধ করতে হবে, স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ করতে হবে এবং অস্থায়ী সরকারি কর্মীদের স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে। রাজ্যের কর্মচারীরা বলেছেন, ৬ষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশের হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের তুলনায় ৩৫ শতাংশ পিছিয়ে আছেন তাঁরা। অন্য বহু রাজ্যে ডিএ বা মহার্ঘভাতার হার এ রাজ্যের তুলনায় বেশি।
রাণী রাসমনি অ্যাভিনিউ থেকে মিছিল শুরু হলে ধর্মতলা চত্বরে পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করলে তা ভেঙে এগিয়ে যান সরকারি কর্মচারীরা। ইতিমধ্যে বিধানসভার মূল গেটের সামনে পৌঁছিয়ে গিয়েছেন আন্দোলনকারিদের একটা বড় অংশ।
বিধানসভার সামনে পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি বাঁধে পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে। পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে বহু আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই পুলিশি আক্রমণের ফলে আহত হয়েছেন বহু আন্দোলনকারী।
Comments :0