FAKE NEWS NANDAKUMAR

প্রচার অসত্য, নন্দকুমারে জয়ী বাম-প্রগতিশীল জোটই

রাজ্য

CPIM  FAKE NEWS NANDAKUMAR

পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ব্লকের বহরমপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে সবকটি আসনেই জয়ী হয়েছেন বাম ও প্রগতিশীল জোটের প্রার্থীরা। মোট ৬৩টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই জয়লাভ করেছেন তাঁরা। রবিবার এই সমবায়ে নির্বাচন হয়। রাতে ফল প্রকাশ হয়।

কিন্তু এই সমবায় সমিতির নির্বাচন নিয়ে অসত্য ও ঘৃণ্য প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি, তৃণমূল ও এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যম। বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরার মতো জয়ী কয়েকজন প্রার্থীকে নিজেদের বলে প্রচার করছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে তৃণমূলের মদতপুষ্ট কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। এমনকি, সমবায় বাঁচাও মঞ্চ বামপন্থী সংগঠন হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি তাকে নিজেদের সংগঠন বলে প্রচার করছে। এদিন পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও মঞ্চের পক্ষ থেকে বিজেপি, তৃণমূল ও একাংশের সংবাদমাধ্যমের এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা করে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সমবায় বাঁচাও মঞ্চ, রাজ্যের বাম, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক মনোভাব পোষণ করেন এমন সমবায়ীদের একটি সংগঠন। রাজ্যের সমবায় সমিতিগুলোকে দখল, লুটপাট ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে এই মঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছে।

এদিন সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, ততই মিডিয়াকে দিয়ে ‘রাম-বাম একসঙ্গে’ বলে মিথ্যা প্রচার করা হবে। আসলে যারা তৃণমূলের যে নেতারা বিজেপি’তে গিয়েছিলেন, তাঁরা তৃণমূলে ফিরলেও সাধারণ মানুষ ভুল ভেঙে লালে ফিরছেন। সমবায় নির্বাচন কোনো দলভিত্তিক নির্বাচন নয়। নন্দকুমারে সমবায়ে তিনশো ভোটারের কাছে সমবায়কে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলীদের হাত থেকে বাঁচানোই মূল কথা ছিল, তাঁরা চোরেদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লুটেরাদের হারিয়েছেন। তৃণমূল তো সর্বত্র সমবায়কে ধংস করে দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এই সমবায় সমিতিতে বিগত বহু বছর ধরেই বামপন্থীরা ক্ষমতায় রয়েছে। গত নির্বাচনেও বামপন্থীরাই জয়ী হয়। ফলে বামপন্থীদের পরিচালিত বোর্ড দখল করার জন্য এবার তৃণমূল ও বিজেপি যৌথভাবে চেষ্টা করে। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রতিরোধে তাদের অপচেষ্টা বিফল হয়। এবারের নির্বাচনে ৬৩টি আসনেই প্রার্থী দেয় বাম ও প্রগতিশীল জোট। ৪৬টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিলেও পরে ৩৫জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে আগেই ৫২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় বাম ও প্রগতিশীল জোটের প্রার্থীরা। রবিবার বাকি ১১টি আসনে নির্বাচন হয়। এই ১১টি আসনেও জয়ী হয় এই জোটের প্রার্থীরা। বামপন্থীদের এই বিপুল জয়কে ছোট করে দেখাতে বিজেপি বাম প্রগতিশীল জোটের কয়েকজন প্রার্থীকে নিজেদের বলে প্রচার চালিয়েছে। বিজেপির এই ঘৃণ্য প্রচারের প্রতিবাদ করেছেন এলাকার মানুষজন। পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও মঞ্চের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নেতা হিমাংশু দাস এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা করে এদিন বলেন, সাধারণ গ্রামের মানুষের কাছে অস্তিত্ব হারিয়ে যাওয়ার পর বামপন্থীদের সংগঠনকে নিজেদের বলে প্রচার চালিয়েছে বিজেপি। আর বিজেপিকে সহযোগিতা করছে তৃণমূল। যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বামপন্থী মনোভাবের মানুষদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করা যায়।

সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, বামপন্থীদের স্লোগান চুরি করার পর বামপন্থীদের সংগঠন, এমনকি জয়ী প্রার্থীদেরও চুরি করতে চাইছে বিজেপি। বিজেপি ও তৃণমূলের এই অপচেষ্টা সফল হবে না। আবার বামপন্থীরাই এই সমবায় সমিতির পরিচালক কমিটি পরিচালনা করবে। 

Comments :0

Login to leave a comment