Lok Shaba Election 2024

ভোট দিতে এসে জানলেন তিনি মৃত , শুনলেন গোবিন্দ রায়

রাজ্য জেলা লোকসভা ২০২৪

ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ বিশ্বজ্যোতি গুহ।

এদিন ভোট দিতে এসে ভোটদাতা গোবিন্দ রায়কে শুনতে হয়েছে তিনি মৃত। একই কারণে এদিন চারজন ভোটার ভোট না দিয়ে ফিরে গেছেন। প্রথম দফায় ভোট দিতে শিলিগুড়ি ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের শিলিগুড়ি বাল্মীকি বিদ্যাপীঠ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ভক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ রায়। কিন্তু ভোট দিতে যাবার সময় তাঁকে ভোট দিতে নিষেধ করা হয়। কারণ ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। জানানো হয় তিনি মৃত। অন্যান্য ভোটারের মতোই এদিন ভোট দিতে এসেছিলেন ১০১ নম্বর বুথের ভোটার জলপাইগুড়ির বাসিন্দা বিশ্বজ্যোতি গুহ। কিন্তু বুথে এসে তিনি জানতে পারেন তিনি মৃত। ভোটার তালিকায় তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটার তালিকায় মৃত বিশ্বজ্যোতি গুহ জানান, ২০২২ সালে প্রয়াত হয়েছেন তাঁর বাবা, তবে আশ্চর্যজনক ভাবে ভোটার তালিকা বাবার জায়গায় ছেলেকে মৃত উল্লেখ করা হয়েছে। এই কারণেই তিনি এবার ভোট দেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন। এর থেকে ও বড় ঘটনা প্রকাশ পায় বিশ্বজ্যোতি বাবুর নিজের পেশা জানার পর। তিনি পেশায় একজন সরকারি কর্মচারি এবং শুধু তাই নয়, তিনি আগামি ৭ মে মালদায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে একজন প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে শেষে তিনি ভোট দিতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন।
আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বরে জলপাইগুড়ি জেলায় ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারলেন না সুনীল সাহা। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তিনি জানতে পারলেন তিনি নাকি মৃত। তাই তাঁকে ভোট দিতে দেওয়া হবে না।
শিলিগুড়ি ৩৫নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভক্তিনগর স্পেশাল জুনিয়ার হাইস্কুলের ভোট কেন্দ্র থেকেও ভোটার তালিকায় নাম না থাকার কারণে, মৃত ঘোষণা করায় চারজন ভোটার এদিন ভোট না দিয়ে ফিরে গেছেন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত জলপাইগুড়িতে ভোট পড়েছে ৭৯.৩৩ শতাংশ।
অন্যদিকে পায়ে চোট নিয়েই ময়নাগুড়িতে ভোট দিলেন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এক মহিলা ভোটার। গত ৩১ শে মার্চ ঝড়ের কবলে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন বার্নিশ এলাকার সম্পা রায়। তার দুই পায়েই চোট লাগে। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকার পর অবশেষে বাড়ি ফেরেন তিনি। তবে এখনো হাঁটতে পারেননা ঠিকমতো। এই অবস্থাতেই শুক্রবার নিজের বুথে গিয়ে ভোট দিলেন সম্পা দেবী। এদিন টোটো করে তাকে নিয়ে আসা হয় ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে। সেখানে কোলে করে বুথের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ভোট দানের সুযোগ করে দেওয়া হয়। ভোটদানের পর তিনি বলেন, "যে সরকারই আসুক আমি চাই আমাকে একটা ভালো ঘর করে দিক যাতে আমার অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে আমি থাকতে পারি। খুবই সমস্যার মধ্যে আছি আমরা।"
শুক্রবার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথ এলাকায় সকাল প্রায় সাতটা থেকে ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে। শান্তিপূর্নভাবে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বেলা বাড়লে তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলের মধ্যে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। শিলিগুড়ি ৪০নম্বর ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্রের বাইরে তৃণমূল ও বিজেপি’র মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দুই দলই ভোট কেন্দ্রের তাদের দলীয় স্লোগান দিতে শুরু করে। ৩৩নম্বর ওয়ার্ডে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়িকা শিখা চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি অমান্য করে বুথে প্রবেশ করার অভিযোগ ওঠে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই অভিযোগ পুলিশ বিধায়িকাকে আটক করতে গেলে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। 

Comments :0

Login to leave a comment