শিবানন্দ পাল
মাত্র ২৪ ঘন্টার গল্প, চেনা পরিবেশ থেকে একেবারেই অচেনা মহাকাশের কথা, অন্য স্বাদের কাহিনি লিখে এবছর বুকার পুরস্কার পেলেন ব্রিটিশ লেখিকা সামান্থা হার্ভে। তাঁর লেখা উপন্যাসের নাম "অরবিটাল"। ২০১৯-এর পর তিনিই প্রথম ব্রিটিশ মহিলা যিনি এই সম্মান পেলেন।
মহাকাশের রহস্য ও মহাকাশচারীদের জীবন নিয়ে বিশেষ কৌতুহল ছিল বহুদিন ধরে তাঁর। আগ্রহ নিয়ে মহাকাশচারীদের লেখা নানা বই পড়েছেন, মহাকাশ কেন্দ্র এবং স্পেস স্টেশনের ভিডিও দেখেছেন। সেই সব অভিজ্ঞতা আর কল্পনার মিশেলে লিখেছেন উপন্যাস।
উপন্যাসে রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র। তার ভিতরে ছ'জন মহাকাশচারী। দুজন পুরুষ, বাকি চারজন মহিলা। তাঁদের দিনযাপনের মাত্র ২৪ ঘন্টার গল্প। আমাদের হিসেবে এক দিন। কিন্তু এই ২৪ ঘণ্টায় তাঁরা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেছেন ১৬ বার। ১৬ বার তাঁরা সূর্যোদয় দেখেছেন এবং দেখেছেন সূর্যাস্ত। তার সঙ্গে আছে মহাকাশের অতুল সৌন্দর্য, আর পৃথিবীর এক এক দিকে যখন ঘুরেছেন, দেখেছেন কোথাও গ্রীষ্মের দাবদাহ চলছে, কোথাও বা অঝোরে বারিপাত হচ্ছে। মাত্র ২৪ ঘন্টায় পৃথিবীর এক এক প্রান্তের আবহাওয়াকে বদলে যেতে দেখা বিরল অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে।
উপন্যাসের ১৩৬ পৃষ্ঠায় তাঁর কাহিনিকে কেউ কেউ বলেছেন, "ক্ষতবিক্ষত পৃথিবীর গল্প"। হার্ভেও স্বীকার করেছেন তাঁর উপন্যাসটি জলবায়ু পরিবর্তন সঙ্কটের বিষয়ে নয়, তবে মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের সত্যকে এড়িয়ে যেতে পারেননি।
১৫৬ টি উপন্যাসের মধ্যে পাঁচ সদস্যের বিচারক মণ্ডলীর সভাপতি লেখক এবং শিল্পী এডমন্ড ডি ওয়াল, গার্ভের লেখা ‘অরবিটাল’ উপন্যাসকে ‘অলৌকিক উপন্যাস’ বলে অভিহিত করেছেন ৷ বলেছেন, ‘‘এই উপন্যাস আমাদের বিশ্বকে নতুন করে তুলে ধরেছে। অচেনা এবং অদেখা অনেক কিছু আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে, যেগুলি ছবির মতো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ৷’’
লন্ডনের ওল্ড বিলিংসগেটে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশনের প্রধান গ্যাবি উড বলেছেন, ‘‘ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কটের মাঝে ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ বছর হতে পারে এই বছরটি৷ সেই প্রেক্ষিতে বইটি আশাজনক, সময়োপযোগী এবং একইসঙ্গে সময়হীন।’’ আসলে তিনি স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন, ১১ নভেম্বর, (২০২৪) থেকে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বসেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু বিষয়ক বার্ষিক সম্মেলন। চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। সেখানে ১৯০ টির বেশি দেশ জলবায়ু সম্পর্কে আগামীদিনে কি কর্মসূচি নেওয়া উচিত তা স্থির করবেন। গ্লোবাল কার্বন প্রজেক্টের এক সমীক্ষায় আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্বে বার্ষিক কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৭.৪ বিলিয়ন টন।
ভূপৃষ্ঠে পরিবেশ দূষণের কারণে বিশ্বের আবহমণ্ডলে খামখেয়ালি ব্যবহার শুরু হয়েছে। কিন্তু ওয়েদার মডিফিকেশনের ব্যাপারটা সাধারণ মানুষের গোচরে না থাকলেও,। রাষ্ট্র নেতারা খুব ভালো জানেন। কারণ তাঁদের একটি বড়ো অংশের মদতেই ব্যাপারটা লালিত হচ্ছে।
গত শতাব্দীর ষাটের দশকে ভিয়েতনামের যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। প্রায় কুড়ি বছর ধরে চলেছিল সেই যুদ্ধ। ভিয়েতনাম যুদ্ধের একটা ছবি সেই সময় পৃথিবী তোলপাড় করেছিল। নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল ছবিটা। ন'বছরের একটা বালিকা নগ্ন অবস্থায়, বাঁচবার জন্য যন্ত্রণায় চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়চ্ছে। চোখেমুখে আতঙ্ক। তাঁর সঙ্গে দৌড়চ্ছে আরও কয়েকটি বাচ্চা। গোটা ছবিতে যুদ্ধের ভয়াবহ আতঙ্ক। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের চিত্রসাংবাদিক নিক উটের তোলা সেই ছবি সাহস করে সেই সময় ছেপে ছিল নিউইয়র্ক টাইমস। আর সেই ছবি আলোচনায় বসতে বাধ্য করেছিল তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে। মার্কিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট নিক্সনের আলোচনার অডিও টেপে নিক্সনকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘আমার মনে হচ্ছে এই ছবি সাজানো’’! এ কথা শোনার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তীব্র সমালোচনা করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ছিলেন ফোটোগ্রাফার নিক উট। বলেছিলেন, ‘‘আমার তোলা এই ছবি ভিয়েতনাম যুদ্ধের মতোই সত্য। ভিয়েতনাম যুদ্ধের ভয়াবহতা রেকর্ড করার জন্য কোনো কিছু সাজানোর দরকার নেই।’’
ভিয়েতনামকে কিছুতেই পর্যুদস্ত করতে পারছিল না মার্কিন সেনাবাহিনী। ভিয়েতনামের ঘন অরণ্য বেষ্টিত পাহাড় জঙ্গল আশ্রয় করে গেরিলারা মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে জীবনপণ সংগ্রাম চালিয়ে ছিলেন, "পদচিহ্ন না রেখে চলাচল, ধোঁয়া ছাড়া রান্না আর শব্দ ছাড়া যোগাযোগ" তিনটি অঙ্গীকারে। গেরিলারা সে দেশের মানুষকে নিজেদের আদর্শের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করাতে সক্ষম হয়েছিল। প্রচার এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বুলেটে পরিণত করেছিল।
আমেরিকান সেনাবাহিনী স্থির করে, অরণ্যের যে সবুজকে ভিয়েতনামের গেরিলা বাহিনী বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে, সেই সবুজকে ধ্বংস করতে হবে। ঢালা হবে রাসায়নিক। প্রেসিডেন্ট কেনেডির নির্দেশে বহুজাতিক রাসায়নিক সংস্থা মনস্যান্টো কেমিক্যালস কোম্পানিকে বরাত দেওয়া হয় বিপুল রাসায়নিক তৈরি করার।
প্লাস্টিক পলিয়েস্টিরিন, হাইড্রোকার্বন বেঞ্জিন আর গ্যাসোলিন দিয়ে তৈরি টন টন সেই রাসায়নিক মিশ্রণ কখনও স্প্রে করে, কখনও সরাসরি বোমা ফেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ভিয়েতনামের জঙ্গল, ঘরবাড়ি সব কিছু। যার নাম নাপাম বোমা। ২,৭০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় হঠাৎ জ্বলে ওঠে, যা কিছু স্পর্শ করে তাকেই আঁকড়ে ধরে। দশ মিনিটের আগুনে সবকিছু পুড়ে ছারখার করে দেয়। এজেন্ট অরেঞ্জ আর একটি রাসায়নিক, যা অরণ্যে গাছ এবং ফসল নিমেষে নষ্ট করে দেয়।
১৯৬৫ থেকে ১৯৭৩ সালের মধ্যে ভিয়েতনামে ৮ মিলিয়ন টন বোমা ফেলা হয়েছিল। ১৯৬২-১৯৭১ সালের মধ্যে শুধু দক্ষিণ ভিয়েতনামেই ফেলা হয়েছে ২০ মিলিয়ন গ্যালন হারবিসাইডস। যাতে সাইগনের উত্তরে লাওস ও কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকার সমস্ত ঘন জঙ্গল ধ্বংস করা যায়। শুধু ১৯৬৯ সালেই সেখানে ১০,৩৪,৩০০ লক্ষ হেক্টর বনভূমি ধ্বংস করা হয়।
২০০৮ সালে মার্কিন কংগ্রেসের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এই যুদ্ধে ব্যয় আমেরিকা করেছিল ৬৮,৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। যা আজকের মূল্যে ৯৫,০০০ কোটি ডলারেরও বেশি। যুদ্ধে ভয়াবহ রকমের ক্ষতি হওয়ায় মার্কিন অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে, প্রতিক্রিয়ায় ভোটাভুটির রাজনীতিতে বড় ধরনের ইস্যু হয়ে যায়। ভবিষ্যত ক্ষতির কথা চিন্তা করে তারা “Paris Peace Accords Act” এর দোহাই দিয়ে ২৯ মার্চ, ১৯৭৩ সালে ভিয়েতনাম ত্যাগ করে।
ভিয়েতনাম তখন মৃত্যুপুরী। অনেক নিরপরাধ নারী ও শিশুসহ ২ মিলিয়নের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। ৩ মিলিয়নের বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।
'ওয়েদার মডিফিকেশন ইন নর্থ ভিয়েতনাম অ্যান্ড লাওস (Project Popeye)- প্রজেক্ট পপ্যায়'। সংক্ষেপে যার নাম "প্রজেক্ট পপ্যায়"! মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই নথির তারিখ, ১৩ জানুয়ারি, ১৯৬৭। আবহাওয়াবিদ এবং পরিবেশবিদদের কাজে লাগিয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রশাসন সেদিন 'ক্লাউড সিডিং' বা মেঘে বীজ বপনের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের মতো সহজ পদ্ধতিকেই হাতিয়ার করেছিল।
ওয়েদার মডিফিকেশনের এই প্রজেক্ট সেদিন ব্যবহার করা হয় অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে। মার্কিন প্রশাসন সাবধানতা অবলম্বন করেছিল এমনভাবে যে, বিষয়টি যদি রাষ্ট্রপুঞ্জের কানে যায় বলা হবে রকেট, বন্দুক, বোমা ব্যবহার না করে 'ক্লাউড সিডিং'এর মাধ্যমে অতি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে শত্রুশিবিরে হানা দেওয়ার তুলনায় এই পদ্ধতি অনেক বেশি 'মানবিক'।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের ফলাফল আন্তর্জাতিক অভিধানে নতুন শব্দ সংযোজন করে "ইকোসাইড"! শত্রুপক্ষের অধীনস্থ নির্দিষ্ট এলাকার আবহাওয়ার তারতম্য ঘটিয়ে বিপর্যয় তৈরি করা সংগঠিত অপরাধ। পাশাপাশি ভিয়েতনাম যুদ্ধ প্রমাণ করে, আগামী দিনে যুদ্ধের ফলাফল নির্ণয়ে ওয়েদার মডিফিকেশন শেষ কথা বলবে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটিয়ে শত্রুদেশের বাস্তুতন্ত্রে অস্থিরতা তৈরি বর্তমান বিশ্বে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে অন্যতম "ষড়যন্ত্র তত্ত্ব" হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। "ক্লাইমেট ওয়েপনস" বা "জলবায়ু অস্ত্র" ব্যবহারে "মিলিটারি অ্যাডভান্টেজ" নেওয়ার প্রমাদ গুণে ঠান্ডাযুদ্ধের যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ আমেরিকা এবং সোভিয়েত রাশিয়া সেই সময়ে ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৬ একাধিকবার বৈঠকে বসেছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জে "কনভেনশন অন দি প্রহিবিশন অব মিলিটারি অর এনি আদার হস্টাইল ইউজ অব এনভায়রনমেন্টাল মডিফিকেশন টেকনিকস" আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। "ওয়েদার ওয়ারফেয়ার" আশঙ্কা দূর করতে ১৯৭৬ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় তৈরি হয় চুক্তি পত্র। সামরিক সুবিধা বা শত্রুপক্ষের ক্ষতির জন্য কোনো দেশ পরিবেশকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না।
ভারতও পিছিয়ে নেই। ভারতের তামিলনাড়ুতে খরা মোকাবিলায় ১৯৮৩, ১৯৮৪-৮৭ এবং ১৯৯৩-৯৪ সালে; কর্নাটকে ২০০৩ এবং ২০০৪ সালে; এমনকি মহারাষ্ট্রে ক্লাউড সিডিং কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। ২০২৪-এর ফেব্রুয়ারি মাসে কর্নাটক বিধানসভায় ক্লাউড সিডিং বিল অনুমোদিত হয়েছে। দিল্লি সরকারও ২০২৩ সালে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ক্লাউড সিডিং পদ্ধতির সহযোগিতায় দিল্লিকে দূষণমুক্ত করায় জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছিল।
বিজ্ঞানীদের কথা, ক্লাউড সিডিং-এর বিপদ আদতে মেঘ চুরি করা। আশেপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি হবার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। আবার কাঙ্খিত বৃষ্টির থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হলে বিপর্যয়! যেমন ২০২৪-এর এপ্রিলে রাজধানী দুবাই সহ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী তুমুল ঝড়বৃষ্টি ও বন্যায় ভেসেছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ওমান। জলের সমস্যা কাটানোর জন্য সেদেশে নব্বইয়ের দশক থেকেই ক্লাউড সিডিং পদ্ধতির ব্যবহার চালু আছে। অথচ বিশেষজ্ঞরা এইসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও বন্যার জন্য কেবল বিশ্ব উষ্ণায়নকেই দায়ী করে থাকেন।
আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটিয়ে শত্রুদেশের বাস্তুতন্ত্রে অস্থিরতা তৈরি ছিল গত শতকের ষাটের দশকে দুই প্রধান শত্রু দেশ আমেরিকা ও সোভিয়েতের ভাবনা। "ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম"-এর ২০২৪ সালের মার্চ মাসের সমীক্ষা তথ্যে বলা হয়েছে, বিশ্বের মাত্র ১২ টি দেশ "ইকোসাইড"কে অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে। এই পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় পরিবেশ, আবহাওয়া সম্পর্কে বিশ্বের রাষ্ট্র নায়কদের চিন্তা ভাবনা কোন পর্যায়ে রয়েছে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে সম্প্রতি জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন শেষ হয়েছে। এই সম্মেলনে যোগ দেননি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও দূষণকারী অর্থনীতির কিছু দেশের রাষ্ট্রনায়ক। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে উঠেছে গুরুতর প্রশ্ন। কারণ সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উঠে এসেছেন ট্রাম্প। জলবায়ু পরিবর্তনকে তিনি ইতিপূর্বে ‘ধাপ্পাবাজি’ বলে অগ্রাহ্য করেছেন। সেজন্য উদ্বেগ তো রয়েছেই।
Comments :0