Sujan Chakrabarty Refugee Colony

উদ্বাস্তু কলোনি এলাকায় বিভেদের প্রচার রুখতে আন্দোলনের ডাক

রাজ্য

উদ্বাস্তু কলোনি এলাকায় আন্দোলন প্রসঙ্গে বলছেন সুজন চক্রবর্তী। মঞ্চে নেতৃবৃন্দ। ছবি: মনোজ আচার্য

জাত, ধর্ম, বর্ণের জিগির তোলা ও সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে নোংরা সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি কায়েম করতে চাইছে তৃণমূল-বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন উদ্বাস্তু কলোনিতেও তার প্রভাব পড়ছে। সাধারণ মানুষের জীবনযন্ত্রণা, অর্জিত অধিকারের দাবিতে আন্দোলন গড়ে জনতার ঐক্য গড়তে হবে।  
শনিবার কলকাতায় প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে বিভিন্ন জেলায় উদ্বাস্তু আন্দোলনের নেতা ও কর্মীদের সভায় এই আহ্বান জানিয়েছেন সিপিআই (এম) নেতৃবৃন্দ।                             সিপিআই (এম) রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে এদিন এই সভার আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কল্লোল মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন সিপিআই (এম)'র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, সুমিত দে, রেখা গোস্বামী, উদ্বাস্তু আন্দোলনের নেতা মধু দত্ত সহ নেতৃবৃন্দ। 
সভায় জেলাগুলো থেকে আসা উদ্বাস্তু আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও সম্ভাবনার নানা কথা তুলে ধরেন। উদ্বাস্তু কলোনি এলাকায় আরএসএস'র সাম্প্রদায়িক প্রচারের উল্লেখ করেন। 
তাঁরা বলেন, উদ্বাস্তু মানুষের জীবন জীবিকা, বাসস্থানের নিরাপত্তা থেকে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। উদ্বাস্তু কলোনি এলাকার নতুন প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে হবে। বক্তারা উদ্বাস্তু আন্দোলনের মূল স্রোতে নতুন প্রজন্মকে আরও বেশি করে যুক্ত করার পক্ষে অভিমত জানান। তাঁরা বলেছেন, রাজ্যের বিভিন্ন বস্তিগুলিতে যেমন প্রোমোটিং, সিন্ডিকেটের থাবা পড়ছে, একইভাবে উদ্বাস্তু কলোনি এলাকাতেও জমি হাঙরদের থাবা পড়ছে। উদ্বাস্তু আন্দোলনের সঙ্গে বস্তি আন্দোলনকে যুক্ত করে যৌথ লড়াইয়ের পক্ষেও অভিমত দিয়েছেন তাঁরা। 
সিপিআই (এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী উদ্বাস্তু আন্দোলনের ঐতিহ্য, গৌরবোজ্জ্বল দিকের বিষয়গুলো উল্লেখ করে বলেছেন বর্তমানে এই সংগঠনের লড়াই সংগ্রাম বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। ভেদাভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে, মানুষের ঐক্য সম্প্রীতি রক্ষায় বিশেষ ভুমিকা পালন করতে হবে উদ্বাস্তু আন্দোলনের নেতা কর্মীদের। 
তিনি বলেন, রাজ্যে পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার উদ্বাস্তু কলোনি এলাকায় নানা কাজ ও পরিকল্পনা নিয়ে চলছিল। কিন্তু রাজ্যে মমতা ব্যানার্জির সরকার আসার পর সেই অধিকার হরণ হচ্ছে। নানা আইন, নীতির মধ্য দিয়ে অর্জিত অধিকার গুলি কেড়ে নেওয়ার অভিসন্ধি চলছে। 
সুজন চক্রবর্তী বলেন, উদ্বাস্তু মানুষ তাদের নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই লাল ঝান্ডা কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। চক্রবর্তী এদিন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশার কথাও তুলে ধরেন। 
সুমিত দে এদিন বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বাস্তু আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা ও প্রাসঙ্গিকতার নানা দিককে ব্যাখা করেছেন।

Comments :0

Login to leave a comment