Md Salim Jalpaiguri

সুড়ঙ্গে বন্দি শ্রমিকরা, খেলা দেখছেন প্রধানমন্ত্রী! ধিক্কার সেলিমের

রাজ্য

জলপাইগুড়িতে সিপিআই(এম)’র কর্মীসভায় মহম্মদ সেলিম।

দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি 

টানেলে আটকে মৃত্যুর মুখে শ্রমিকরা। আর প্রধানমন্ত্রী বসে খেলা দেখছেন! উত্তরকাশীতে চারধাম প্রকল্পের নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকরা। আট দিন পরও উদ্ধার করা যায়নি তাঁদের। আর রবিবার প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে তৈরি স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখছেন, হাত নাড়ছেন।

৪১ শ্রমিকের উদ্ধারের কাজ প্রসঙ্গে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মহম্মদ সেলিম। সোমবার জলপাইগুড়িতে সিপিআই(এম)’র কর্মীসভায় যোগ দিতে আসেন পার্টির রাজ্য সম্পাদক। প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলের অবিরত বোমাবর্ষণেও ধিক্কার জানান তিনি। 

সেলিম বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে জোট নিরপেক্ষ নীতিতে বিশ্বাসী ছিল ভারত। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইজরায়েলের পক্ষ নিচ্ছেন। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ইজরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে একটি বাক্যও বলছেন না। আসলে ওনাকে আতএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলতে না করেছেন। বিজেপি-তৃণমূল যতই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলুক আসলে দড়িটা আরএসএস’র হাতে।

তিনি বলেন, ‘‘দেশ যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে দেশের মানুষের ঐক্যকে রক্ষা করতে হবে বিভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে লাল ঝাণ্ডার শক্তিকে সংহত করতে হবে।’’

এদিন কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিআই(এম)’র জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য অমূল্য রায়। ছিলেন জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য, রাজ্য সম্পাদক মন্ডলী সদস্য জিয়াউল আলম সহ নেতৃবৃন্দ। 

সলিল আচার্য বলেন, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন সহ বিভিন্ন নির্বাচনে এবং এই সময়কালে বিভিন্ন গণ সংগঠনে বহু নতুন কর্মী উৎসাহের সাথে কাজ করছেন। তাঁদের পার্টিতে যুক্ত করতে হবে। বুথ এলাকায় আরও নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। 

মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘খেলাকে যুদ্ধে আর যুদ্ধকে খেলায় পরিণত করেছে বিজেপি সরকার। তাই ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে নরেন্দ্র মোদী নিজে স্টেডিয়ামে ছিলেন। 

সেলিম বলেন, ‘‘ওরা চেয়েছিল লাল হটাও। লাল ঝান্ডার শক্তি কমাতে কর্পোরেট মহল তৃণমূল আর বিজেপিকে কাজে লাগিয়েছে। কর্পোরেট লুঠের ক্ষেত্র হয়েছে জল জঙ্গল জমি পাহাড় খনি সবকিছু। লাল ঝাণ্ডা যদি শক্তিশালী থাকে তাহলে ১০০ দিনের কাজ হয়, বনাঞ্চলের আদিবাসী বনবস্তিবাসীদের অধিকার তৈরি হয়।’’ 

সেলিম বলেন, ‘‘২০০৪ সালে ইউপিএ-১ সরকারের সময়ে এমন দাবি ছিনিয়ে এনেছিল বামপন্থীরা। আর বর্তমানে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি আর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল একশ দিনের কাছ থেকে শুরু করে বনাঞ্চলের অধিকার আদিবাসীদের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে। তাই লাল ঝাণ্ডার শক্তি সংহত করা জরুরি।’’

সেলিম বলেন, ‘‘যৌবনের ডাকে জনগণের ব্রিগেড ৭ জানুয়ারি। গত এক বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পার্টির শক্তিকে সংহত করে আমরা টানটান লড়াইয়ে ছিলাম। তাই পঞ্চায়েতে শাসকের চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পেরেছি। সেভাবেই এই সময় কালে পার্টিতে যুক্ত হওয়া বিভিন্ন নির্বাচনে পার্টির সাথে যুক্ত হওয়া নতুন কম বয়সী তরুণ তরুণীদের পার্টিতে যুক্ত করতে হবে নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে পার্টির শক্তিকে আরো সংহত করতে হবে।’’ 

Comments :0

Login to leave a comment