Gaza Aid Shortage

ইজরায়েলের বাধায় দিনে ২ হাজার টন ঘাটতি গাজার ত্রাণে, নিহত আরও ১৩

আন্তর্জাতিক

মাত্র দু’টি জায়গায় খোলা হয়েছে চেকপোস্ট। দিনে প্রয়োজনের তুলনায় অন্তত ২ হাজার টন ঘাটতি রয়েছে ত্রাণে। 
সংঘর্ষ বিরতির মধ্যেই এমন অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরাই। গত চব্বিশ ঘন্টায় ১৩ প্যাস্তিনীয়ের দেহ আনা হয়েছে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে, জানাচ্ছে প্রশাসন। আর এর মধ্যেই হামাসকে একতরফা হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইজরায়েলে পৌঁছে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স, বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। ইজরায়েলের হামলায় চোখ বুঁজে থেকে ভ্যান্সের দাবি, সংঘর্ষ বিরতির প্রথম পর্ব ‘আশার তুলনায় বেশি সফল’।
মধ্য প্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সংঘর্ষ বিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্ব, যেখানে হামাসের অস্ত্র সমর্পণ এবং গাজায় নতুন প্রশাসন তৈরির কথা বলা হয়েছে, তার প্রয়োগ নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করেছেন ভ্যান্স।   
এরই মধ্যে ট্রাম্প আবারও হামাস কে সতর্ক বার্তা জানিয়েছে। নাম না করে তিনি বলেন,প্যালেস্টাইনের সশস্ত্রবাহিনী যদি যুদ্ধ বিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে তবে বড় রকম আক্রমণ হবে।
তবে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে মার্কিন সেনা নামানোর সম্ভাবনা খারিজ করেছেন ভ্যান্স। 
মিশরের কায়রোতে সেদেশের সংবাদমাধ্যমকে হামাসের নেতা খলিল অল হায়া বলেছেন, প্যালেস্তাইন-ইজরায়েল সংঘাতের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে শরম অল শেখে সংঘর্ষ বিরতির চুক্তিতে সই করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে আন্তরিক হামাস।
বিভিন্ন অংশ প্রশ্ন তুলেছে স্বাধীন প্যালেস্তাইন রাষ্ট্র গঠনের কী হবে তা নিয়ে মুখ খুলছেন না ট্রাম্প। সেক্ষেত্রে সংঘর্ষ বিরতির পরিণতি কী, রয়েছে সে প্রশ্ন।
গত ১০ অক্টোবর থেকে সংঘর্ষ বিরতি শুরু হয় গাজায়। তারপরেও ক্রমাগত ইজরায়েল গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। 
এদিকে হামাস জানিয়েছে ধ্বংসস্তূপ থেকে ইজরায়েলের আরও দুই বন্দির দেহ মিলেছে। দেহ পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। কিন্তু এরপরেও উত্তর গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে দিচ্ছে না ইজরায়েলি সেনা। 
ত্রাণের রান্নাঘরগুলিতে ভিড় জমিয়েছে পালিস্তিনীয় শিশুরা। সংঘর্ষ বিরতির মাঝেই ইজরায়েলের সেনা বারবার হামলা চালায় গাজায়। ৫০ দিনের বেশি সময় ধরে উত্তর গাজার জিকিম ক্রসিংয় বন্ধ হয়ে রয়েছে। যার জেরে উত্তর গাজার ত্রাণ পরিবহণ প্রায় বন্ধ। এতদিন অবধি শুধু মাত্র দক্ষিণ গাজায় বাণিজ্যিক ট্রাক প্রবেশে করছে। ফলত খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। 
"দু বছর পরেও আমাদের ত্রাণের জন্য কথা বলতে হচ্ছে। আদতে গাজার কোনো পরিবর্তনই ঘটেনি।" এমনটাই বক্তব্য গাজার অনেকের।      
গাজার সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধ গণহত্যা ছাড়া আর কিছুই নয়, বলেছে কাতার।

Comments :0

Login to leave a comment