কালিম্পঙেও তিস্তা নদী ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। কালিম্পঙ থেকে সিকিম যাওয়ার রাস্তা বন্ধ রয়েছে। একমাত্র বিকল্প শিলিগুড়ি থেকে সেবক, গোরুবাথান থেকে লাভা হয়ে রাস্তা। কাটারেতে ধস নামায় এই রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্যেও ২৫ জনের এনডিআরএফ দল সেনার সঙ্গে সিকিমের সিংটামে উদ্ধার কাজ চালিয়ে একজন মহিলা সহ তিনজনের দেহ উদ্ধার করেছে।
বৃষ্টি অবিরাম চলছেই। তাই ধস সরানোর কাজ করা কখন সম্ভব হবে সে বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছে না। এদিকে শিলিগুড়ি সিকিম সংযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় এনডিআরএফ’র আরও জওয়ান উদ্ধার কাজে যোগ দিতে পারছেন না। শিলিগুড়ি থেকে সিকিমে যেতে পারছেন না তাঁরা। রাতভর এক নাগাড়ে বৃষ্টি ও তিস্তা নদীতে জলোচ্ছ্বাসের কারণে উদ্ধারকার্যও বিঘ্নিত হচ্ছে।
বৃষ্টিতে বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এনডিআরএফ জওয়ানদের এয়ারলিফটে করে পাঠানো যাচ্ছে না। তবে জানা গেছে, ২৫জনের একটি দলকে শিলিগুড়িতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ২০ জনের একটি দলকে বিকল্প রাস্তা ধরে সিকিমের পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
এনডিআরএফ উত্তরবঙ্গের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট বিবেক কুমার জানাচ্ছেন, সিকিমে এনডিআরএফের একটি দল উদ্ধার কাজ চালিয়ে তিনজনের দেহ উদ্ধার করেছে। উদ্ধার কাজ চলছে। যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ও এয়ারলিফট কাজ না করায় জওয়ানদের পাঠানো যাচ্ছে না। প্রয়োজনে কলকাতা থেকে আরো জওয়ান আনা হতে পারে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।
প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে আটকে বহু পর্যটক। প্রায় দুই সহস্রাধিক পর্যটক আটকে পড়েছেন। পর্যটকদের সুবিধার্থে ০৩৩২২১৪৩৫২৬/১০৭০ এই নম্বরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
Comments :0