রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা বা ডিএ বাড়ালো রাজস্থান। শনিবার সরকারি ঘোষণায় জানানো হয়েছে যে ডিএ ৪ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের এই ঘোষণার পর রাজস্থানের সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্তদের মহার্ঘভাতা মোট ৪২ শতাংশ। আগেই ৩৮ শতাংশ ছিল মহার্ঘ ভাতা।
পশ্চিমবঙ্গে এখন সরকারি কর্মচারী, শিক্ষকদের মহার্ঘভাতা মাত্র ৩ শতাংশ। নতুন করে ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে সরকার। তা কার্যকর হলে দাঁড়াবে ৬ শতাংশে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ফারাক ৩৬ শতাংশ।
ডিএ বা মহার্ঘভাতা কর্মচারীদের বাড়ারই কথা। জিনিসপত্রের দামস্তর বিবেচনায় রেখে তা নির্দিষ্ট করা হয়। প্রভাব কেবল সরকারি কর্মচারীদের মধ্যেই পড়ে না। বেসরকারি সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরতদের মধ্যেও এই মাপকাঠি বিবেচনায় থাকে। মালিকপক্ষ না দিলে দাবি ওঠে ন্যায্য বেতন কাঠামোর।
পশ্চিমবঙ্গে এই ডিএ নিয়েই কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। ১০ মার্চ শিক্ষক এবং কর্মচারীদের ধর্মঘটের পর চারদিকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। আর্থিক সঙ্কটকে যুক্তি খাড়া করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ‘মাথা কেটে নিলেও’ দিতে পারবেন না বলে নাটকীয় মন্তব্য করছেন।
রাজস্থান সরকারকে যদিও এত কিছু করতে হয়নি। নির্দিষ্ট বিধি অনুযায়ী, নিয়ম মেনে বাড়িয়ে দিয়েছে ডিএ। তার আগে কেন্দ্র ৪ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্তদের। কেন্দ্রীয় হার না হলেও, তার কাছাকাছি পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে রাজস্থানেও।
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের এক মন্ত্রী আবার আন্দোলনরত কর্মীদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘না পোষালে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি করতে।’ মুখ্যমন্ত্রী বলে চলেছেন যে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু রাজস্থানের মতো রাজ্য, আর্থিক উন্নতির বিচারে মাঝারি সারিতে দেশের নিরিখে, তার সঙ্গে মহার্ঘভাতায় হারের তুলনাই বলে দিচ্ছে কী মাত্রায় বঞ্চনার শিকার রাজ্যের কর্মচারী, শিক্ষকরা।
Comments :0