লাগাতার বোমাবর্ষণ চলছে গাজায়। ইজরায়েলের দখলদারিতে পূর্ণ মদত দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বজুড়ে সংঘর্ষবিরতির দাবি জোরালো চহচ্ছে প্রতিদিন। সেই আবহেই ৭-১০ নভেম্বর ভারতে থাকছেন মার্কিন বিদেশ সচিব এবং প্রতিরক্ষা সচিব। এই সময়েই দেশজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিল পাঁচ বামপন্থী দল।
সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই’র ডি রাজা, ফরওয়ার্ড ব্লকের জি দেবরাজন, আরএসপি’র মনোজ ভট্টাচার্য এবং সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের দীপঙ্কর ভট্টাচার্য যৌথ বিবৃতিতে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থী দলগুলি যৌথ প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে ৮ নভেম্বর। মহাজাতি সদন থেকে রামলীলা ময়দান পর্যন্ত ওই মিছিলে বামফ্রন্টের বাইরে রয়েছে এমন বামপন্থী দলগুলিও শামিল হয়েছে।
প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের যুদ্ধঘোষণাকে সবার আগে সমর্থন জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৭-১০ নভেম্বর ভারতে দু’দেশের বিদেশ মন্ত্রক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে। বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন।
পাঁচ বামপন্থী দলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে যুদ্ধবিরতির পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। ইজরায়েলী প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আর্থিক, সামরিক সহায়তা এবং গণহত্যায় সমর্থন বন্ধ করতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মোদী সরকারকেও মার্কিন-ইজরায়েল গণহত্যায় অনুমোদন বন্ধ করতে হবে। বিশ্বজুড়ে সংঘর্ষবিরতির দাবি উঠেছে। তার পক্ষে থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসঙ্ঘেও বিজেপি’র নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত করেছে। প্যালেস্থাইনের জনগণের স্বভূমি এবং স্বাধীনতার দাবির পক্ষে বরাবর অবস্থান নিয়েছে ভারত। সেই পরম্পরা ভাঙা হয়েছে মোদী সরকারের মেয়াদে।
Comments :0