Ghatal Flood

বন্যা পরিস্থিতি ঘাটালে, জলের স্রোতে ভেসে মৃত ২

রাজ্য জেলা

চিন্ময় কর- ঘাটাল

বর্ষার জলে ভাসছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। ক্রমশ জল বাড়ছে পার্শ্ববর্তী এলাকা। তলিয়ে গিয়েছে যাতায়াতের রাস্তা ঘাট। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মানুষ। জলের স্রোত ঠেলে নিরাপদ স্থানে পৌছার চেষ্টায় জলের স্রোতে ভেসে গিয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে শনিবার। তাদের মধ্যে একজন নাবালিকাও রয়েছে। এই মহুর্তে শিলাবতী, ঝুমি কেঠিয়া নদীর জলের স্রোত বিপরীতে নীচ থেকে রূপনারায়ন নদীর জলের চাপে ঘাটাল মহকুমার তিনটি ব্লকের হাজারের বেশি মৌজা জলের তলায়। ঘাটাল পৌরসভার ১৩টি ওয়ার্ডে একতল ঘরের ছাদ সমান জল। ঘাটাল ব্লকের ৯ টি গ্রামপঞ্চায়েত, চন্দ্রকোনা থানার ৭টি গ্রামপঞ্চায়েত এবং দাসপুর থানার ৬টি গ্রামপঞ্চায়েত সম্পূর্ণ ভাবে জলের তলায়। যাদের দোতলা বাড়ি রয়েছে  তাঁরা রয়েছে ছাদে। কোথাও কোথাও একতলা বাড়ির ছাদে ত্রিপল লাগিয়ে রয়েছেন মানুষ। এদিন বিকাল থেকে দফায় দফায় ফের বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বন্যার আরো অবনতি। জলের স্তর ক্রমশ বাড়ছে ডুবে থাকা গ্রামগুলিতে। শিলাবতী, জুমি, কংসাবতী, কেঠিয়া চার নদীর খরাস্রোতা জল আগের বন্যায় হানা পড়া ২২টি স্থান দিয়ে হুহু করে জল ঢুকে পড়ায় মহুর্তের মধ্যে রাস্তা ঘাট ঘরবাড়ি ডুবিয়ে জলস্তর বাড়ছে। সঠিক সময়ে হানাপড়া নদী বাঁধ মেরামত না করায় আজ এক মাসে তিন বার জলযন্ত্রনায় নয় লক্ষ মানুষ।
এদিন সকালে দেওয়ানচক এলাকার মল্লাপাড়া মৌজায় ঘরে ঘরে জল ডুকতে শুরু করে। জলের স্রোত ঠেলে নিরাপদ আশ্রয়ে সাত বছরের স্কুল ছাত্রী সুলতানা খাতুন স্কুলে রাখতে গিয়ে মায়ের হাত ফসকে জলের স্রোতে ভেসে যায়। পরে তার মৃত দেহ উদ্ধার করেন গ্রামের মানুষ। মৃত নাবালিকার বাবা সেখ বাপন বলেন, ঘরের জিনিস পত্র রঘুনাথপুর স্কুলে রাখতে গিয়ে ছিলেন, তারপর মেয়েকে স্কুল থেকে ওই নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাবেন ভেবে ছিলেন। অজবনগর এলাকার খিসরা মৌজার ৫৬ বছরের নিতাই ডোগরা এদিন সকাল দশটা নাগাদ শুকনো খাবার কিনে বাজার থেকে ঘরে ফেরার পথে জলের স্রোতে ভেসে চলে যায়। এখনও পর্যন্ত সেই ব্যাক্তির দেহ উদ্ধার করতে পারেনি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। 

Comments :0

Login to leave a comment