আমেরিকায় এক দলীয় ব্যবস্থা চলছে। নিজের আলাদা দল ‘আমেরিকা পার্টি’ ঘোষণা করার আগে এমনই অভিযোগ তুলেছেন ধনকুবের এলন মাস্ক। মাস্কের ঘোষণা, আমেরিকার মানুষের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে তৈরি করেছেন নতুন দল।
অথচ ২০২৪ এর নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মোটা টাকা খরচ করেছেন মাস্ক। রাষ্ট্রপতি ভোটে মাস্ক এবং আমেরিকার ধনকুবেরদের বিপুল টাকা ঢালার কারবারে এই অভিযোগ উঠেছে যে নির্বাচনী ফলাফল এখন কেনা হচ্ছে আমেরিকায়।
মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্পের দ্বন্দ্ব বার কয়েক সামনে এসেছে গত কয়েক মাসে। যার জেরে স্পষ্ট হয়েছে যে বিশ্বের সবচেয়ে ধনীকেও বিপুল ভর্তুকি দেওয়া হয় আমেরিকার জনতার টাকায়। ট্রাম্প সেই ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন প্রকাশ্যে।
তবে মাস্ক ট্রাম্পের সমালোচনায় সরাসরি নামেন বিপুল কর ছাড়ের ‘মেগা বিল’ আমেরিকার কংগ্রেসে পেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই। ধনীদের কর ছাড়ে আপত্তি ট্রাম্পের নেই। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে যে বিশেষ সুবিধার আশা করেছিলেন ব্যবসায়ী মাস্ক, তা হয়নি। মাস্ক যদিও ভারতের মতো বেশ কয়েকটি দেশে স্যাটেলাইট ফোন পরিষেবার বরাত জোগার করে ফেলেছেন।
মাস্ককে মাথায় বসিয়ে সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের দপ্তর ডিওজিই তৈরি করেন ট্রাম্প। পরপর কর্মী ছাঁটাইয়ের জেরে আমেরিকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছে। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের একাংশও মাস্কের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। সরকারি ব্যয় কমানোর নামে কর্মী ছাঁটাইয়ের নীতি যদিও ট্রাম্পেরই।
২০২৪’র পর আমেরিকায় রয়েছে ২০২৬’র মধ্যবর্তী নির্বাচন বা ‘মিড টার্ম’। ট্রাম্প তাঁর নতুন দল খোলার বাসনা জানিয়ে টুইট করেন তাঁর নিজের মালিকানাধীন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ। বেশ কিছু সমর্থনও মেলে। মাস্ককে এক সমর্থক প্রশ্ন করেছেন তা’হলে নির্বাচনে লড়বেন কবে? ধনকুবের জবাব দিয়েছেন, সামনের বছর।
Elon Musk
কবে লড়বেন ভোট? নতুন দল খুলে মাস্ক বলছেন ‘সামনের বছর’

×
Comments :0