Sadguru SC

‘সদগুরুর’ যোগ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মহিলাদের ‘মগজ ধোলাই’ করার অভিযোগ

জাতীয়

মহিলাদের ‘ব্রেনওয়াশ’ করে আশ্রমিক বানাবার অভিযোগে ‘সদগুরু’ জাগ্গি বাসুদেবের ইশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে আলাতদের দ্বারস্থ হন কোয়েম্বাটোরের এক ব্যক্তি। সংস্তার বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের বির্দেশ দেন মাদ্রাজ হাইকোর্ট। মামলাটি স্থগিত করে মামলাটি নিজের এক্তিয়ারে নিল সুপ্রিম কোর্ট।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে ইশা ফাউন্ডেশন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়, তামিলনাড়ু সরকারকে ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত ফৌজদারি মামলার বিশদ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
শীর্ষ আদালত বলেছে, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ এখন গ্রেপ্তার করবে না জাগ্গি বাসুদেবকে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, ‘‘এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোয়েম্বাটোর গ্রামীণ পুলিশ তদন্ত করবে এবং এই আদালতে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দাখিল করবে’’।
শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চকে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। আগামী ১৮ অক্টোবর পরবর্তী শুনানি।
কোয়েম্বাটুরের তামিলনাড়ু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস কামরাজ অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর দুই মেয়েকে মগজ ধোলাই করে ইশা ফাউন্ডেশন আশ্রমের যোগকেন্দ্রে পণবন্দি করে রাখা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, তিনি কামরাজের মেয়েদের সঙ্গে কথা বলেছেন, যারা অনলাইন শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে তারা নিজের ইচ্ছায় আশ্রমে বসবাস করছেন। যদিও অনলাইনে তাদের বলপূর্বক বয়ান দেওয়ানো হয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
কামরাজ পিটিশনে অভিযোগ করেছিলেন যে ইশা ফাউন্ডেশন ব্যক্তিদের মগজ ধোলাই করছে, তাদের সন্ন্যাসী বানাচ্ছে এবং তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখতে বাধা দিচ্ছে।

সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্টের নির্দেশে কোয়েম্বাটোরের ইশা ফাউন্ডেশনে তদন্ত চালায় পুলিশের একটি দল।
কামরাজের আবেদনের শুনানিতে মাদ্রাজ হাইকোর্ট দাবি করেছিল যে তাঁর ৪২ ও ৩৯ বছর বয়সী দুই মেয়েকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছে, সাধগুরু কেন তাঁর নিজের মেয়ের বিয়ে এবং বসতি স্থাপনের সময় মহিলাদের সন্ন্যাসী হিসাবে জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করেন?
আবেদনে ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে বিচারাধীন বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে ইশা যোগ কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনে সাম্প্রতিক একটি মামলা রয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment