মণিপুরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার তিনি নিজেই জানিয়েছেন যে কয়েকদিনের মধ্যেই উত্তর পূর্বের হিংসা কবলিত এই রাজ্যে যাবেন তিনি। টানা তিনদিন থাকবেন। কথা বলবেন বিভিন্ন অংশের সঙ্গে।
মে’র গোড়া থেকে হিংসা শুরু হয়েছে মণিপুরে। কারফিউ, ইন্টারনেট বন্ধ করেও পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দেওয়া যঅচ্ছে না। সাময়িক বিরতির পর ফের শুর হয়ে যাচ্ছে হিংসা। বুধবারও রাজ্যের বিজেপি সরকারের এক মন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ একদল। মঙ্গলবারও তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
বিভিন্ন রাজ্যে ঘরে দাঙ্গার কথা মনে করিয়ে প্রচার করেছেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ। কর্নাটকের নির্বাচনী প্রচারে গিয়েও বলেছিলেন যে কংগ্রেস জয়ী হলে রাজ্যে দাঙ্গা হবে। মণিপুরে বিজেপি সরকারের এমন অবস্থা যে সেই শাহকেই ছুটতে হচ্ছে দাঙ্গা সামলাতে। বিরোধীরা যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তৎপরতার দাবি তুলছেন বেশ কয়েকদিন ধরেই।
শাহ এদিন বলেছেন, আদালতের রায়ের পর থেকেই হিংসা শুরু হয়েছে রাজ্যে। বিক্ষুব্ধ সব অংশের সঙ্গেই আলোচনা করতে আগ্রহী সরকার।
মণিপুরের মেইতেই জনগোষ্ঠীর আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদবিাসী অন্য গোষ্ঠীগুলির ক্ষোভ, মেইতেইরা তুলনায় সরকারি সুযোগ সুবিধা বেশি পেয়েছে। রাজধানী ইম্ফল এবং আশেপাশের এলাকায় তাদেরই বসতি বেশি।
বিজেপি সরকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল সাফ করার নামে আদিবাসী বহু মানুষকে উচ্ছেদ করছে বেশ কয়েকমাস ধরে। কুকিদের মতো জনজাতির তোব্র ক্ষোভও রয়েছে উচ্ছেদে। প্রতিবাদও হয়েছে। কিন্তু মেইতেইদের আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি সামনে আসতেই ক্ষোভ সংঘর্ষের চেহারা নিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশ বহুদিন ধরেই বিজেপি এবং আরএসএস’র রাজনীতির বিপদ সম্পর্কে সচেতন করছিলেন। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক বিভাজন করে ভোটে ফয়দা তোলার কৌশল নিয়েছে আরএসএস-বিজেপি।
বুধবার রাতে মণিপুরের পূর্ত মন্ত্রী কনথৌজাম গোবিন্দাসের বাড়িতে আগুন ধরায় জনতা। ভাঙচুরও চলে। একটি গোষ্ঠীর ক্ষোভ, রাজ্য সরকার এখনও সশস্ত্র উগ্রপন্থীদের থেকে স্থানীয়দের রক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়নি। গোবিন্দাস রাজ্যের যুব ও ক্রীড়া দপ্তরেরও দায়িত্বে। মণিপুরে তিনি বিজেপি’র বরিষ্ঠ নেতাও।
দিল্লিতে শাহ এদিন মণিপুূরের সব অংশকে শান্ত হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
Comments :0