Saif Ali Khan

সইফ আলী খান হামলা কান্ড: ধৃতকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত

জাতীয়

১৬ জানুয়ারি বান্দ্রার বাড়িতে অভিনেতা সইফ আলী খানকে হামলাকারী অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের সময় মুম্বাইয়ের একটি আদালত বলেছে, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সন্দেহকে উড়িয়ে দেওবা যায় না, কারণ হামলাকারী বাংলাদেশের।
আদালত বলেছে, আসামি বাংলাদেশের নাগরিক। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সন্দেহকে অসম্ভব বলা যাবে না। তাই তদন্তকারী অফিসারকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। তাই ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয় হল।
সইফ আলি খান হামলা মামলায় অভিযুক্ত মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে আজ বিকেলে বান্দ্রা আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিশ ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করলে আসামিপক্ষের আইনজীবী তা আপত্তি করেন।
শুনানি চলাকালীন তদন্তকারী অফিসার তার ১৪ দিনের হেফাজতের দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন যে অভিযুক্তরা সইফ আলি খানের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে, অভিনেতার উপর হামলা চালায় এবং আরও দু’জনকে আহত করে।
‘‘সইফ আলী খানের শরীরে ছুরি-সহ গুরুতর জখম হয়েছে। অভিযুক্ত কীভাবে অভিনেতার বাড়িতে ঢুকেছিল এবং হামলার পিছনে তার উদ্দেশ্য কী ছিল তা আমাদের তদন্ত করা দরকার। তিনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক, তিনি কীভাবে এ দেশে ঢুকলেন তা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ,’’। তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘আমাদের ১৪ দিনের হেফাজত প্রয়োজন’’।
আসামিপক্ষের আইনজীবী হেফাজতের আবেদনের বিরোধিতা করে যুক্তি দেন যে অভিযুক্ত বাংলাদেশি নন, মুম্বাইয়ে বসবাসকারী একজন ভারতীয় নাগরিক।
তিনি বলেন, ‘সইফ আলী খান জড়িত থাকায় বিষয়টি অহেতুক প্রচার করা হচ্ছে। তা না হলে এটাকে স্বাভাবিক মামলা হিসেবেই গণ্য করা হতো। রিমান্ড আবেদনে হেফাজতের কারণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। অভিযুক্ত একটি ছোট ছেলে, যার কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই এবং তাকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে’।
আসামিপক্ষের মতে, আসামি মামলার বিবরণ সম্পর্কে অবগত নন।
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত বলে, ‘‘তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, এবং অভিযুক্তকে আজই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই তদন্তের জন্য পর্যাপ্ত সময়ের জন্য রিমান্ড চাওয়ার যুক্তি যৌক্তিক’’। মামলার শুনানি শেষে শেহজাদের আইনজীবী সন্দীপ বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশি হওয়ার কারণে মামলার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা হয়েছে।
‘‘প্রথমত, সইফ আলি খান কখনও এমন কোনও বিবৃতি দেননি বা কারও সঙ্গে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই, যা তাঁকে কোনও রাজ্য, বাংলাদেশ বা অন্য কোনও দেশ থেকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। তার বিরুদ্ধে কোনো আন্তর্জাতিক মামলা নেই। তিনি (আসামি) বাংলাদেশি হওয়ার কারণে তারা মামলার অ্যাঙ্গেল পরিবর্তন করেছে। এর আগে তিনি বাংলাদেশে থাকলেও বহু বছর ধরে এখানে বসবাস করছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ৬ মাস ধরে তিনি এখানে বসবাস করছেন, যা সত্য নয়। পরিবারটি মুম্বাইয়ে রয়েছে,’’ তিনি জানিয়ে।

Comments :0

Login to leave a comment