ধর্ষণ কান্ডে অভিযুক্ত ১১ আসামীর মুক্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবদেন বিলকিস বানোর। ২০০২ গুজরাট দাঙ্গার সময়ে বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের আরও ৭ জনকে হত্যা করার অভিযোগে ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের এক বিশেষ সিবিআই আদালত অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন তিনি।
বিশেষ আদালতের সেই রায় বহাল রাখে বম্বে হাইকোর্টও। ১৫ বছরের বেশি কারাবাসের পর, আসামীদের একজন সুপ্রিম কোর্টে অগ্রিম মুক্তির আবেদন করে। সুপ্রিম কোর্ট সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করত বলে গুজরাত সরকারকে। গুজরাট সরকারকে তাদের সাজা মকুবের বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করতে বলে। এরপর গুজরাট সরকার এই বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটিই ১১ জনের মুক্তির সুপারিশ করেছিল।
বানোর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শোভা গুপ্তা আজ সকালে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে আবেদন করেছেন। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, বিচারপতি অজয় রাস্তোগির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ (যিনি গুজরাটকে মকুবের আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দিয়ে আগের রায়টি তৈরি করেছিলেন)তিনি এখন সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি করছেন বলে বিষয়টি শুনতে পারবেন কিনা। ২০২২ সালের মে মাসে, বিচারপতি রাস্তোগির নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ রায় দিয়েছিল যে গুজরাট সরকারের কাছে সাজা মকুবের আবেনটিকে বিবেচনা করার এক্তিয়ার রয়েছে কারণ ঘটনাটি গুজরাটে হয়েছিল।
গুজরাট হাইকোর্ট আগে বলেছিল যে মকুবের বিষয়টি মহারাষ্ট্রকে বিবেচনা করতে হবে, কারণ ট্রান্সফারের পরে মুম্বাইতে বিচার হয়েছিল।
পরে, ১৫ আগস্ট, ২০২২-এ, ১১ আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিপ্রাপ্ত আসামীদের বীরের মতো অভ্যর্থনা পাওয়ার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যার প্রতিক্রিয়ায়
সুপ্রিম কোর্টে একগুচ্ছ জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
সিপিআই(এম) নেত্রী শুভাশিনী আলি, সাংবাদিক রেবতী লাউল, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার মীরন চাধা বোরওয়াঙ্কর এবং আরও কয়েকজন প্রাক্তন সিভিল সার্ভেন্ট ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান উইমেন ইত্যাদির তরফে, পিটিশন দাখিল করা হয়।
Comments :0