ভারতীয় সনাতন চিন্তাধারার সঙ্গে সমলিঙ্গে বিবাহ খাপ খায় না। ফলে তাকে বৈধতা দেওয়া যায় না। রবিবার সুপ্রিম কোর্টে জমা হলফনামায় এই ভাষায় সোয়াল করেছে কেন্দ্র।
সমলিঙ্গে বিবাহের বৈধতা চেয়ে আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি সোমবার। তার আগের, রবিবার, এই হলফনামা জমা করল কেন্দ্র। যুক্তিতে বারবার ‘ভারতীয় পরিবারের ধারণা’-র উল্লেখ করেছে কেন্দ্র। এর আগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারাকে অপরাধমূলক নয় বলে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সমলিঙ্গে সম্পর্ক অপরাধমূলক বিবেচনা করার সুযোগ ছিল দণ্ডবিধির ওই ধারায়। তবে সমলিঙ্গে বিবাহ আইনি স্বীকৃতি পায়নি।
কেন্দ্র বলেছে, ‘‘ভারতীয় পরিবারের ধারণা অনুযায়ী পরিবারে স্বামী, স্ত্রী থাকবে। তাদের যৌনত্ব ভিন্ন হবে। স্বামী হবেন শারীরিক বিচারেই পুরুষ, স্ত্রী হবেন শারীরিক বিচারে নারী। তাঁদের সন্তান থাকবে। বাবা মানে পুরুষ এবং মা মানে নারী সন্তানদের পালন করবে।’’
কেন্দ্রের যুক্তি, ‘‘৩৭৭ ধারা অপরাধমূলক নয় বলে রায় দেওয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা দেখিয়ে কেউ সমলিঙ্গে বিবাহে বৈধতা দাবি করতে পারে না।’’ কেন্দ্রের যুক্তি, ‘‘সঙ্গী হিসেবে থাকা এবং সমলিঙ্গে যৌন সম্পর্ক ভারতীয় ধারণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’’
বিয়ে কাকে বলে? কেন্দ্রের ব্যাখ্যা, ‘‘ভারতীয় সমাজে বিয়ে মানে ভিন্ন যৌনত্বের দুই মানুষের মিলন। সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং আইনি এই ধারণার সমাজের গভীরে গেঁথে রয়েছে। তা নিয়ে নাড়াচাড়া করা ঠিক নয়।’’
কেন্দ্রের বিজেপি জোট সরকারের যুক্তিত পরিষ্কার রাজনৈতিক অতি দক্ষিণপন্থার চিন্তাজাল দেখতে পাচ্ছে বিভিন্ন অংশই। সমাজের বহু স্তরে সমলিঙ্গে বিবাহ বা সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি আছেএমন নয়। ভারতীয় প্রচারমাধ্যমে, বিপণনের বিজ্ঞাপনে সম্মতি জানিয়ে তৈরি প্রচারবস্তু থাকছে। সমাজে অসম্মতির বদলে যৌনত্বের ভিন্ন অভিমুখ নিয়ে চর্চায় আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। আপত্তি ছড়াতে দেখা গিয়েছে মুখ্যত উগ্র অন্ধ একাংশকেই।
Comments :0