দফায় দফায় চীনের ওপর ১০৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসিয়েছিল আমেরিকা। বুধবার ফের পালটা পদক্ষেপ নিয়ে আমেরিকার আমদানির ওপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক বসালো চীন।
চীন এবং আমেরিকা, একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সঙ্গীও। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক শাসানির জেরে বিশ্ববাণিজ্য ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা জানাচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।
ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে ভারত চুপ থাকার রাস্তা নিলেও চীন সহ বিশ্বের বহু দেশই পালটা পদক্ষেপ নিয়েছে।
আমেরিকা প্রথম দফায় শুল্ক চাপানোর পর ২ এপ্রিল ফের চড়া হারে শুল্ক চাপায় আমেরিকা। চীনকে তাদের শুল্ক তোলার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। চীন তা মানেনি। আমেরিকা ফের শুল্ক চাপিয়ে তার হার ১০৪ শতাংশে তুলে দেয়। এরপরই চীন ফের শুল্ক চাপায়। ফলে চীনে আমেরিকার রপ্তানিতে মোট ৮৪ শতাংশ শুল্ক বসছে।
চীনের দাবি, একতরফা শুল্ক চাপিয়ে শাসানোর রাস্তাতে কোনও সমঝোতা সম্ভব নয়। ট্রাম্প আলোচনা চাইলে চীন রাজি। কিন্তু একতরফা শর্ত ঝুলিয়ে আলোচনায় বসা যায় না। আমেরিকা এখন চীনার সংস্থাগুলির শেয়ার তাদের বাজারে নথিভুক্তি বন্ধের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। তবে তাতে শেয়ার বাজার আদৌ ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর খুশি হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে সব মহলেই। কারণ চীনা বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের চাহিদা রয়েছে বরাবরই।
চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় চিঠি পাঠিয়ে বলেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যাহত হবে গুরুতর মাত্রায়। উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি এই নীতির বিরোধিতা করা হচ্ছে। চীন বলেছে যে বাণিজ্য যুদ্ধের বিপক্ষে দেশ। আবার দেশের স্বার্থরক্ষার সঙ্গত অবস্থান নিয়েও চলে চীন।
চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিঙ বলেন, পারস্পরিক অগ্রগতির নীতি মাথায় রেখে প্রতিবেশীদের সঙ্গে দৃঢ় বোঝাপড়া নিয়ে চলতে আগ্রহী চীন।
প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বেজিঙে আলোচনাসভায় বক্তৃতা দেন শি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেন তিনি। সভাপতিত্ব করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াঙ।
CHINA USA
আমেরিকার ১০৪ শতাংশের পালটা ৮৪% শুল্ক বসালো চীন

×
Comments :0