সংসার চলে টোটোয় রোজগারে ভর করে। পড়াশোনার সাথে সাথে টোটো ও চালান তমা দত্ত। চাঁপদানী পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তমা দত্ত। শ্রীরামপুর কলেজের বাংলা অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। ভাড়া বাড়িতে মা, বাবা ভাই ও বোনকে নিয়ে পাঁচ জনের সংসার তাঁর। অভাবের সংসারে অনটন ছিলই, বাবার শারীরিক অসুস্থতা সেই অনটন আরো বাড়িয়েছে। সব্জির ব্যবসা বন্ধ হয়েছে করোনায়। বাধ্য হয়ে টোটো নিয়ে রাস্তায় নেমেছে কলেজ ছাত্রী। সংসারের হাল ধরতে এখন টোটোই ভরসা।
তমা বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারকে সাহায্য করতে হবে তাই কিছু আয়ের প্রয়োজন। যে জন্য টোটো চালানো ছাড়া উপায় ছিল না। সব্জি বিক্রির জন্য টোটো ছিলো সেটা চালানো শিখে নিয়ে বেরিয়ে পরি। ভোরে বেরিয়ে কলেজ যাওয়ার আগে বাড়িতে ঢুকি। কলেজ করে বাড়ি ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার রাত নটায় বেরিয়ে এাগারোটা বারোটা পর্যন্ত চালাই। টোটো চালানোর জন্য পড়াশোনার সময় কম পাই। কিন্তু এটা করতেই হবে আমাকে।ভলো রেজাল্ট করে সরকারি চাকরির চেষ্টা করব।
শুধু নিজের পড়াশোনা নয় ভাই বোনের পড়াশোনা ও সংসার খরচও চালাতে হয় তমাকে। পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষা রয়েছে সামনে। সেদিকে মন দিতে চান কলেজ ছাত্রী।
তমার মা অঞ্জলি দত্ত জানান, সংসারের দায়িত্ব বড় মেয়ে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। বাবার ওষুধ, ভাই বোনের টিউশন খরচ সবই যোগাতে হয় তাকে। রাতে যখন ও টোটো নিয়ে বেরোয় আমিও থাকি মাঝে মধ্যে। রাত হয় ফিরতে। সংসারে অভাব আছে আমি বলেছিলাম কোনো দোকানে কাজ কর। মেয়ে বলে দোকানে কাজ করলে পড়াশোনার সময় পাবে না।তাই টোটো চালায় আর আমাদেরও এভাবেই চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
Comments :0