রবিবার মরশুমের দ্বিতীয় ডার্বি। ডুরান্ড কাপের চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল। প্রথম ডার্বিতে কল্যাণীতে কলকাতা লিগে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল ৩-২ গোলে । তবে এই ডার্বিতে ভিন্ন চিত্র লাল হলুদ শিবিরে। মাঝমাঠের ভরসা মহম্মদ রশিদের পিতৃ বিয়োগ হওয়ার কারণে এই ম্যাচে সম্ভবত নেই তিনি। তয় এই ম্যাচটা তাকে উৎসর্গ করেই জিততে চাইছে গোটা ইস্টবেঙ্গল দল। গত কয়েক মরশুম ধরে ইস্টবেঙ্গলের প্রধান সমস্যা তাদের রাইট ব্যাক পজিশন। রাকিপ হোক বা নুঙ্গা । ভরসা দিতে পারেননি কেউই। প্রতিপক্ষের লিস্টনকে রুখতে তাই বাড়তি ভাবনাচিন্তা করেছেন কোচ অস্কার। তবে আক্রমণভাগে এডমান্ড , মহেশ , ডেভিড ও বিদেশী মিগুয়েল যথেষ্টই ভরসা দিতে পেরেছেন । ডার্বি জিততে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারেন আক্রমণভাগের এই ৪জন খেলোয়াড়। ইস্টবেঙ্গলের বেশিরভাগ বিদেশীদেরই এইটা প্রথম ডার্বি হতে চলেছে। ফলে চাপ একটা থাকবেই তাদের জন্য। স্ট্রাইকারে গোলের জন্য হামিদের দিকেই তাকিয়ে থাকবে লাল হলুদ জনতা। গত মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের সেরা খেলোয়াড় বিষ্ণু এই ম্যাচে হয়ত নাও খেলতে পারেন। তবে উইং থেকে ভরসা যোগাতে পারেন বিপিন সিং। লাল হলুদ জার্সিতে ইতিমধ্যেই গোলও করে ফেলেছেন তিনি। দুইদিন আগেই গোয়া থেকে জয় গুপ্তা যোগ দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে। তবে ডুরান্ডের নিয়মানুযায়ী ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে একজন খেলোয়াড়ের নাম নথিভুক্ত করতে হয়। তাই এই ম্যাচে জয় খেলবেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রেখেছেন কোচ অস্কার। সাংবাদিক সম্মেলনে অস্কার জানিয়েছিলেন যে , এবার অন্য ইস্টবেঙ্গলকে দেখা যাবে। রবিবার মাঠেই তার সেই প্রতিজ্ঞার বাস্তবায়ন দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ - গিল , আনোয়ার , কেভিন, নুঙ্গা, লাকরা, জিকসন, মিগুয়েল , এডমান্ড , মহেশ , বিপিন ও হামিদ।
Comments :0