EMPLOYEES STRUGGLE

গণতান্ত্রিক অধিকারের সংগ্রাম
জারি রাখছে যৌথ মঞ্চ

রাজ্য

EMPLOYEES STRUGGLE

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত সময় দেওয়া হল সরকারকে। এরপরেও যদি বকেয়া ডিএর দাবি না মেটানো হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। শুক্রবার ধর্মঘটের পর রাজ্য সরকারকে সরাসরি এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কর্মচারী, শিক্ষকদের যৌথ মঞ্চ।

রাজ্য সরকারি কোষাগার থেকে বেতনপ্রাপ্ত কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের যৌথ মঞ্চের ডাকেই এদিন হয়েছে ধর্মঘট। কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে চল্লিশটিরও বেশি সংগঠনের এই যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী বলেন, শুক্রবার প্রশাসন দেখেছে সম্মিলিত ধর্মঘট কাকে বলে। এপ্রিল মাস জুড়ে আন্দোলন চলবে। সরকারের মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন ভাতা ক্রমাগত বাড়ে, সরকারের কর্মীদের বেতন বাড়ে না কেন? 

যৌথ মঞ্চের নেতৃবৃন্দ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একবার বলছেন ৩ শতাংশ। আরেকবার বলছেন ১০৫ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে। সত্যিটা কী? আসলে তিনি ডিএ না দেওয়ার নানা বাহানা তুলেছেন। ডিএ না দেওয়া মানে কর্মচারীদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এই গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতেই আমাদের আন্দোলন, ধর্মঘট। 

সব শূন্যপদ পূরণ, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণও দাবি ছিল ধর্মঘটের। ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন। ধর্মঘটে যোগ না দেওয়ার জন্য নানা হুমকি এসেছে, শাসক দলের অনুগামীরা চেষ্টা চালিয়েছেন। সরকারি আদেশনামা জারি হয়েছে। সেসব উপেক্ষা করে ধর্মঘট করেছেন কর্মীরা। তবে চালু ছিল জরুরী পরিষেবা। তবুও সাধারণ মানুষের কিছু অসুবিধা হয়েছে, কর্মচারীদের পাশে দাঁড়িয়ে সেই অসুবিধা মেনে নিয়েছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। 

আগামী ৫ এপ্রিল দিল্লিতে শ্রমিক কৃষক খেতমজুরদের পার্লামেন্ট অভিযান। সেখানে অংশ নেবেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরাও।

Comments :0

Login to leave a comment