উষ্ণায়নের সরাসরি প্রভাব পড়ছে এশিয়ার দেশ গুলিতে দাবি আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের। বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে ২০২৩ পৃথিবীর ইতিহাসে উষ্ণতম বছর হিসেবে চিহ্নিত হবে। ‘এল নিনো’ স্প্যানিশ ভাষায় যার অর্থ ‘ছোটো ছেলে’ ২০২৩ তারই বছর। প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব প্রান্তে জলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বৃদ্ধি পেলে এল নিনো হিসেবে ধরা হয়। ২০১৫’র পরে ফের ২০২৩’এ সেই পরিস্থিতিই সৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাবে যেরকম গরম পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তেমনি বৃষ্টির ঘাটতিও থাকবে। যদিও ভারতীয় আবহাওয়াবিদদের দাবি চলতি বছরের স্বাভাবিক থাকবে বৃষ্টির পরিমান।
কিন্তু এল নিনোর প্রভাবে এশিয়ার কিছু দেশে ইতিমধ্যেই ব্যপক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ভিয়েতনামে চলতি সপ্তাহেই তাপমাত্রা ছুঁয়ে গেছে ৪৪ ডিগ্রি। ফলে সেখানে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে চাষের। সঙ্গে রয়েছে বিদ্যুতের ঘাটতি। চলতি সপ্তাহে সেখানে বারবার বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছে। ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড, লাওস, কাম্বেডিয়া, মায়ানমারেও বাড়ছে তাপমাত্রা। ফিলিপিন্সে এতটাই তাপমাত্রা বেড়েছে যে সেখানে স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে তাপমাত্রা রয়েছে প্রায় ৪০ ডিগ্রি। অতিরিক্ত গরম পড়ায় সেখানেো বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। ফলে বারবার বিদ্যুৎ বিপর্যয় হচ্ছে। সেখানকার আবহাওয়া দপ্তর আগাম সরকারকে সতর্ক করেছে কারণ চলতি বছরে বৃষ্টি কম হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে এবং খরা পরিস্থিতিও সৃষ্টি হতে পারে।
সিঙ্গাপুর বিশ্ববিদ্যলয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক তিয়ে ইং কোহ জানিয়েছেন গত বছর ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, কাম্বোডিয়ায় বৃষ্টি পাতের পরিমান যথেষ্ট কম থাকায় এল নিনোর বছরের আরও শুকনো থাকবে এশিয়ার ওই অঞ্চলের আবহাওয়া। ভারতেও এপ্রিলের শেষে একপ্রস্থ তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। আগামীতেও আবারও তাপ প্রবাহের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতেই পারে। এদিকে বঙ্গপো সাগরে মোকা ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফের পূর্ব ভারতের রাজ্য গুলিতে তাপমাত্রা বেড়েছে। যধিও আপাতত তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত না দিলেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর
Comments :0