জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে কমল বৃদ্ধির হার। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রকের তথ্যে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৬.৩ শতাংশ। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ছিল ১৩.৫ শতাংশ।
শিল্প উৎপাদন সূচকেও অর্থনীতির সমস্যা স্পষ্ট হয়েছে। কারখানা উৎপাদন এবং খনি, এই দুই ক্ষেত্রেই বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক। মানে মোট উৎপাদনই কমে গিয়েছে। ব্যাঙ্ক অব বরোদার মুখ্য অর্থনীতিবিদ মদন সবনবিস সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ছোট এবং মাঝারি শিল্প সঙ্কটে রয়েছে। কারখানা উৎপাদনের হার সেই কারণে ঋণাত্মক।
ছোট এবং মাঝারি শিল্পেই সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। অসংগঠিত ক্ষেত্রের সক্রিয়তাও অনেকাংশে নির্ভর করে এই ক্ষেত্রগুলির ওপর। ফলে কর্মসংস্থান এবং রোজগারে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, স্পষ্ট করেছে কেন্দ্রেই তথ্য।
প্রথম ত্রৈমাসিকে উৎপাদন বৃদ্ধির হার গত বছরের তুলনায় ছিল ১৩.৫ শতাংশ। শিল্পমহল মনে করিয়েছে করোনা মহামারী এবং লকডাউনের প্রভাবে আগের অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে উৎপাদন মার খেয়ে। চলতি অর্থ বছরে এই তিন মাসে বড় লাফ দেখা গিয়েছে সেই তুলনার কারণেই। সারা বছরে বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে।
Comments :0