Gaza Hospital

গাজার সেই হাসপাতালে এবার আগুন জ্বালালো ইজরায়েল, ‘মৃত্যুদণ্ডের সমান’, বলছে ‘হু’

আন্তর্জাতিক

হাসপাতাল ফাঁকা করা হয়েছিল। এবার হাসপাতালে আগুন লাগিয়ে দিল ইজরায়েলের সেনা। সভ্যতার ন্যূনতম মাপকাঠির তোয়াক্কা না করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড।
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ আরও জানাচ্ছে যে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেককে ধরে নিয়ে গিয়েছে সেনা। হাসপাতালের ডিরেক্টর চিকিৎসক হাসাম আবু সাফিয়াও রয়েছেন ধৃতদের মধ্যে। 
‘হামাস’-র বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে ইজরায়েল লাগাতার গাজার একের পর এক হাসপাতাল ধ্বংস করেছে। বোমা পড়েছে স্কুলে, শিশুদের নিয়ে আশ্রয়হীন বহু পরিবার যেখানে ঠাঁই নিতে বাধ্য হয়েছে। 
কামাল আদওয়ান হাসপাতাল ধ্বংসের পর বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই শাখা বলেছে, যেভাবে গাজায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে পরিকল্পনা করে ধ্বংস করা চলছে তা লক্ষাধিক প্যালেস্তিনীয়কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সমান। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্যালেস্তাইন ত্রাণ বিষয়ক শাখা ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, শিশুরা ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছে। খোলা আকাশের নিচে তাদের পরিবার। এখনই মানবিক ত্রাণের ব্যবস্থা করা জরুরি। 
ইজরায়েলের সেনা তাদের পুরনো রেকর্ডই বাজিয়ে ফের। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ঘাঁটি ছিল হামাসের। এই অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করেছে প্রতিরোধী সশস্ত্র সংগঠন ‘হামাস। ইজরায়েল সেনাকে প্রমাণ দেখানোর দাবি তোলা হয়েছে। 
শুক্রবার থেকেই হামলা শুরু হয় এই হাসপাতালে। সেসময় হাসপাতালে ছিলেন প্রায় সাড়ে তিনশো জন। ছিলেন গুরুতর অসুস্থ ৭৫ রোগী। প্রায় ১৮০ জন স্বাস্থ্যকর্মীও ছিলেন হাসপাতালে। 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ বলেছে, হামলার জেরে ৬০ স্বাস্থ্যকর্মী এবং ২৫ রোগী সঙ্কটজনক। ভেন্টিলেশনে ছিলেন এমন রোগীদের চিকিৎসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। 
‘হামাস’ শনিবার বলেছে, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের দায়িত্ব ইজরায়েলের যুদ্ধ অপরাধের তদন্ত করা। পরিকল্পিত গণহত্যার তথ্য জোগার করা। গাজা থেকে প্যালেস্তিনীয়দের উচ্ছেদ এবং দখলের পরিকল্পিত অভিযানকে প্রকাশ করা উচিত।’
৫ অক্টোবর থেকেই উত্তর গাজায় জমি দখল করতে নেমেছে ইজরায়েলের সেনা। ব্যবহার করা হচ্ছে ভারী অস্ত্র। খাদ্য, ওষুধ বা জ্বালানির মতো জরুরি সবকিছুর সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইজরায়েল।

Comments :0

Login to leave a comment