Brigade

‘ব্রিগেড যানা জরুরি হ্যায়’, বলছেন চা বাগান শ্রমিকরা

জেলা ব্রিগেড

বানারহাটে রেল স্টেশনে ব্রিগেড যাবার ব্যাস্ততা। ছবি সঞ্জিত দে।

হামিন কা মজদুরি ঠিক সময় পে চাহিয়ে। মকান কে লিয়ে জমিন কা পাট্টা চাহিয়ে। কাঞ্চন কন্যা ট্রেনের বগির ভিতরে বসে যেতে যেতেই জোশ নিয়ে দ্রুত নিশ্বাসের সঙ্গ বললেন বানারহাট চা বাগানের তরুণী লছমী মাহালি। নিউ ডুয়ার্স চা বাগানের মনীষা ওঁরাও জানালেন এই দাবিগুলর কথা সকলকে জানাতেই কলকাতার সমাবেশে চলছি।
সুনীতা লোহার, মঙ্গল লোহার বললেন, ‘‘চা বাগানের মাটিতে জন্মে বড় হয়েছি আমি। এখন একের পর এক বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা বেকার হয়ে যাচ্ছি। বাধ্য হয়েই ভিন রাজ্যে যেতে হচ্ছে। কারণ রাাজ্যে কাজ নেই, এলাকায় বন্ধ ১০০ দিনের কাজ। নতুন করে কলকারখানা খুলছে না। যেগুলি খোলা তাও প্রায় বন্ধের মুখে। চাকুরি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। চা বাগানের জমিনও মাফিয়াদের হাতে বিক্রি করার চেষ্টা হচ্ছে। সরকার গদ্দারি করছে। এই কারণে ব্রিগেড ময়দান যানা জরুরি হ্যায়।’’ 
শনিবার ডুয়ার্সের চা বলয়ের বানারহাট থানার বানারহাট মোরাঘাট বিন্নাগুড়ি নিউ ডুয়ার্স গ্যান্দ্রাপাড়া চা বাগানের এবং বানারহাট বাজার থেকে ১৭২জন যুবক যুবতীরা বানারহাট স্টেশন থেকে রওনা দিলেন ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য। এদের মধ্যে ৬৫ জন তরুণী আছেন। এই দলের শ্রমিক নেতা প্রদীপ সরকার, সঞ্জয় দাস, বুবাই রাহা’রা জানালেন,‘‘ আমরা হাটে বাজারে শ্রমিক  মহল্লায় ঘুরে ঘুরে গন সংগ্রহ করে যে অর্থ যোগাড় করেছি সেই অর্থ দিয়েই যে কয়জনের জন্য ট্রেনের টিকিট কাটতে পেরেছি সেই কয়জন চলছি ব্রিগেড সমাবেশে।’’ চা শ্রমিক নেতা তিলক ছেত্রী অজয় মাহালি বলেন, অনেকের মন খারাপ অর্থের কারণ তাদের সাথে আনতে পারলাম না তাই।

Comments :0

Login to leave a comment