আলোর শহর চন্দননগরে আলো নিভিয়ে চলছে প্রতিবাদ। পুজো কমিটি থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষজন দর্শনার্থী সকলেই বলছেন এমন ঘটনা চন্দননগরের ক্ষেত্রে বিরল। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যাঞ্চল সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজা সমিতিতে। প্যান্ডেলের আলো নিভিয়ে রাখা হয়েছে নিভিয়ে রাখা হয়েছে, পাশাপাশি রাস্তার আলো নিভিয়ে চলছে প্রতিবাদ। প্রতিমাতেও নেই পর্যাপ্ত আলো জ্বলছে একটি প্রদীপ।
মধ্যাঞ্চল সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজা সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,মাননীয় কমিশনার অফ পুলিশ, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট আমাদের পুকুরের লাইট ও সাউন্ড শো বন্ধ করতে বাধ্য করেছেন। ওনাদের দাবি যে, ওই শো চললে দর্শনার্থীরা পদপৃষ্ঠ হতে পারেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
আলো নিভিয়ে চলছে প্রতিবাদ।
চন্দননগরের গর্ব হলো আলোকসজ্জা, পুকুরের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো ২-৩ মিনিটের এবং দুটি শো এর মধ্যে বিরতি ১৫ মিনিটের, পুজা সমিতির স্বেচ্ছাসেবক এবং সিকিউরিটি গার্ডের মাধ্যমে গত দুদিন যথাসাধ্য চেষ্টা করে দর্শনার্থীদের ভিড়কে নিয়ন্ত্রণ করেছে। গত তিন বছর ধরে পুকুরে আমরা এই লাইট এন্ড সাউন্ড শোয়ের আয়োজন করে চলেছি। তাতে কোনো রকম দুর্ঘটনা বিগত বছরগুলোতে মধ্যাঞ্চল এলাকায় হয়নি। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ চন্দননগরের বিখ্যাত আলোকসজ্জা দেখতে আসেন, তাই সেই আলোক সজ্জার একটি অংশ যদি আমাদের বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়, তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমরা যতক্ষণ না পুনরায় সমগ্র আলোকসজ্জা শুরু করার অনুমতি পাচ্ছি, ততক্ষণ আমরা প্রতিবাদে বসে থাকবো ও স্টেশন রোড ও মণ্ডপের সমস্ত আলোকসজ্জা বন্ধ থাকবে।
লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী দেখুক ও জানুক পুলিশ প্রশাসনের অক্ষমতার কথা ও এই তুঘলকি সিদ্ধান্ত।
দর্শনার্থীরা জানাচ্ছেন এমন ঘটনা তারা আগে কখনো দেখেননি। এই পুজ কমিটি দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরেই এরকম লাইট শো আয়োজন করে আসছে। তবে এই বছর কেন এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের।
Comments :0