ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা বা ‘মাইক্রোফিনান্স কোম্পানি’-র দৌরাত্ম্য সামলানো মাথাব্যথা হয়ে গিয়েছে কর্নাটক সরকারের। একের পর এক হেনস্তার অভিযোগে সরগরম রাজ্য।
কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানিয়েছেন পরিস্থিতি সামাল দিতে অর্ডিন্যান্স আনা হচ্ছে।
মাইক্রোফিনান্সের দেনার জেরে সংঘাত কেবল কর্নাটক নয়, এমন ঘটনা রয়েছে সারা দেশেই। পশ্চিমবঙ্গেও এমন ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার তাগাদায় আত্মহত্যার একাধিক ঘটনা রয়েছে।
কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ঋণ আদায়ের জন্য কারও ওপর জোর খাটানো হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ পাটানো হয়েছে প্রশাসনের সব স্তরে। পুলিশ চালু করেছে হেল্পলাইন।
পরিস্থিতি সামলাতে চলতি সপ্তাহেই জরুরি বৈঠক করেন সিদ্দারামাইয়া, পরমেশ্বর এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। আইনমন্ত্রী এইচ কে পাটিলও ছিলেন বৈঠকে।
বুধবার পরমেশ্বর বলেছেন, ‘‘সংসদীয় মন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে অর্ডিন্যান্সের খসড়া চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। দ্রুত খসড়া চূড়ান্ত হবে। পেশ করা হবে রাজ্য মন্ত্রীসভায়।’’
পরমেশ্বর জানিয়েছেন যে মাইক্রোফিনান্স সংস্থাগুলি ঋণ দেওয়ার পর আদায়ের দায়িত্ব অন্য সংস্থাকে ‘আউটসোর্স’-ও করে দিচ্ছে। এই আদায় সংস্থাগুলি জুলুম চালাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন অর্ডিন্যান্সেও থাকবে যে ঋণ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেককে প্রশাসনের হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হবে। কোনও প্রশ্ন বা অভিযোগ থাকলে দ্রুত জানানোর সুযোগ করে দেওয়া হবে।
Microfinance Karnataka
মাইক্রোফিনান্সের জুলুম বন্ধে অর্ডিন্যান্স আনছে কর্নাটক
×
Comments :0