শুভঙ্কর দাস
এই মুহূর্তে সমগ্র দেশের ফুটবল মানচিত্রে বহুল চর্চিত নাম কেরালা। সবুজ গালিচার লড়াইতে একের পর এক সাফল্য পাচ্ছে এই রাজ্য।
গত বছর সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে, মাঠে ছিল উপচে পড়া দর্শক। যা প্রমাণ করছে, ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা। সেই সঙ্গে, আইএসএল’র দল কেরালা ব্লাস্টার্সের সমর্থনের ভিত্তিও যথেষ্ট শক্তিশালী।
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত মরসুমের পরিসংখ্যান। আই লিগ খেতাব পায় কেরালার দল গোকুলম কেরালা এফসি। সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয় কেরালা ফুটবল দল। সেইসঙ্গে, ইন্ডিয়ান উইমেনস লিগেও জয় পায় গোকুলম কেরালা মহিলা ফুটবল দল। অন্যদিকে, আইএসএল’র ফাইনালে রানার্স হয় কেরালা ব্লাস্টার্স এবং ডেভেলপমেন্ট লিগেও রানার্স হয় তাঁরা।
এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে যে, একটা রাজ্যের সার্বিক ফুটবল পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাজ্য সরকারও ফুটবলের পাশে রয়েছে। সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন ফুটবল দলের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং চাকরির ব্যবস্থাও করা হয় অনেকের।
একটি রাজ্যের পক্ষে এতগুলি ফুটবল টুর্নামেন্টে তখনই সাফল্য পাওয়া সম্ভব, যখন তাঁদের সাপ্লাই লাইন যথেষ্ট শক্তিশালী জায়গায় থাকে। নতুন ফুটবলার তুলে আনার ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছে রাজ্যের ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। শুধু তাই নয়, রাজ্যের একাধিক জায়গায় ফুটবল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার তৈরি করে ট্যালেন্ট খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।
স্কুল স্তরের ফুটবলেও নজর দিচ্ছেন কর্তারা। কেরালা ব্লাস্টার্সের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে রেসিডেন্সিয়াল অ্যাকাডেমি।
আর এইসব কিছুরই ফল হাতেনাতেই পাচ্ছে কেরালা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। বিদেশি এবং ভারতের অন্যান্য রাজ্যের ফুটবলারদের সঙ্গে চুটিয়ে খেলছেন কেরালার ফুটবলাররা।
Comments :0