হুঁশিয়ারি ছিল প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের। স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা বেভারম্যান পালা করে হুমকি দিচ্ছেন। রাজনৈতিক বিরোধীরা মিছিলের মধ্যে নেমেও হামলা চালালো। তবু ফের প্যালেস্তাইনে বোমাবর্ষণ বন্ধের দাবিতে মিছিল হলো লন্ডনে।
‘এখনই যুদ্ধবিরতি’। প্রধানত এই দাবিতেই ‘ন্যাশনাল মার্চ ফর প্যালেস্তাইন’ হয়েছে ব্রিটেনের রাজধানীতে। গাজা সহ প্যালেস্তাইনে গত এক মাসে অবিরাম বোমাবর্ষণের প্রতিবাদে যদিও এটিই প্রথম মিছিল নয়। তবে মিছিল ঘিরে সুনকের হুঁশিয়ারি অন্য মাত্রা দেয়।
বছরের এই দিনটিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত সেনাদের স্মরণ করে ব্রিটেন। সেই যুক্তিতে ইজরায়েলের সমর্থক সুনক মিছিল বন্ধ রাখার আর্জি জানান। প্যালেস্তাইনে গণহত্যার বিপক্ষে মিছিল করছেন যাঁরা, শান্তির কথা বলছেন, তাঁদের ওপরই ব্রিটেনের রক্ষণশীল সরকারের সুরক্ষা সচিব সুয়েলা বেভারম্যান ঘৃণা ছড়ানোর দায় চাপাচ্ছেন।
এদিন সুনক, বেভারম্যানদের অনুগামীরা মিছিলের জন্য জড়ো হওয়া জনতার ওপর হামলাও চালায়। ব্রিটেনের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা জেরেমি করবিনের মতো নেতারা পিছিয়ে যাননি। মিছিল হয়েছে। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মিছিলের ছবি, ভিডিও।
লন্ডন পুলিশ এদিন দায়ী করেছে মিছিলের বিরোধীদের আচরণকে। পুলিশ বলছে, আগ্রাসী আচরণ দেখা গিয়েছে মিছিল-বিরোধীদের মধ্যে। আর লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেছেন, ‘‘স্বরাষ্ট্র সচিবের মন্তব্য পরিস্থিতি ঘোরালো করেছে। পুলিশকে বেগ পেতে হয়েছে বিশৃঙ্খলা সামলাতে।’’
ইউরোপ এবং আমেরিকা ‘ইজরায়েলের নিজের সুরক্ষার অধিকার’ দেখিয়ে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু একের পর এক দেশে জনতা প্রতিবাদে শামিল হয়েছে। ইতালিতে উগ্র দক্ষিণপন্থী সরকারের অবস্থানের প্রতিবাদে মিছিল হয়েছে রোমে। আমেরিকায় সেরা ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ চলছে। শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, তবু প্রতিবাদ থামছে না। এমনকি এশিয়ার আপাত নিস্পৃহ জাপানের রাজধানী টোকিওতে চলতি মাসের গোড়ায় হয়েছে প্রতিবাদ। দাবি উঠছে, এখনই যুদ্ধবিরতি চাই। গণহত্যা বন্ধ কর।
Comments :0