মহাজনের তাগাদায় জেরবার ছিলেন। আনন্দ থ্যাকারের ঝুলন্ত দেহ মিলল খেতের পাশে। মধ্য প্রদেশের ছিন্দওয়ারায় কৃষক আত্মহত্যার আরেক ঘটনা সামনে এসেছে। সুদে টাকা খাটানোর ব্যবসা করে এমন চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
থাকরের পরিবারের দাবি, এই চারজনের নাম সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছিলেন পঞ্চাশ বছরের কৃষক আনন্দ থ্যাকারে। একটি ঋণদান সংস্থার নামও রয়েছে ওই নোটে। থ্যাকারে লিখেছেন ধারের মূল অঙ্ক শোধ হয়ে গেলেও ঋণের ভার বড়। কিছুতেই শোধ করা যাচ্ছিল না।
ভারতে কৃষক আত্মহত্যা কৃষি সঙ্কটের অন্যতম মাপকাঠি বলেই বিবেচিত। ব্যাঙ্ক থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ না পেয়ে টাকা নিতে হয় মহাজনদের থেকে। চড়া সুদে টাকা এই মহাজনরা। তার ওপর ফসলের দাম না পাওয়ার সমস্যা আর কৃষির খরচ বাড়তে থাকায় শোধ হয় না ধার।
থ্যাকারের পরিবার সোমবার বিক্ষোভ দেখিয়েছে সউমার থানার সামনে। ছিন্দওয়ারায় তাঁদের নিমনি গ্রাম এই থানা এলাকার মধ্যেই। পুলিশকে তাঁরা বলেছেন যে ওই চার মহাজন সমানে উৎপাত করত। টাকার তাগাদা দিতে এসে হেনস্তা করত। আত্মঘাতী হতে হয়েছে আনন্দ থ্যাকারেকে তার জন্যই।
Comments :0