JU SALIM

এভাবেই কৃষকদের পিষে দিয়েছিল বিজেপি’র মন্ত্রীর গাড়ি, যাদবপুর কাণ্ডের নিন্দায় সেলিম

রাজ্য

লখিমপুর খেরিতে এভাবেই আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপি সরকারের মন্ত্রী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের ওপর দিয়ে সেভাবেই চলে গিয়েছে তৃণমূল সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এই তুলনা টেনেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।  
শনিবার ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ঘিরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সভায় যোগ দিতে আসেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। দেখা যায় মন্ত্রীর গাড়ি চলে গিয়েছে বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর দিয়ে। আহত হয়েছেন একাধিক ছাত্রছাত্রী। হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয় তাঁদের। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ছাত্র সংগঠন এসএফআই-ও।
সেলিম বলেন, ‘‘কৃষক বিক্ষোভে বিজেপি নেতার গাড়ি চাপা দিয়ে কৃষক হত্যার ঘটনা মনে করিয়ে দিল আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত ছাত্রদের ওপর তৃণমূল মন্ত্রীর গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য ঘটনা। নিন্দা জানাই।’’
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির গাড়ি পিষে দিয়েছিল আন্দোলনরত চার কৃষককে। তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে চার বছর আগে চলছিল এই আন্দোলন।
সেলিম বলেছেন, ‘‘কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নির্বাচন হয় না। কেন হয় না। যেখানে হয়েছে, দেখা গিয়েছে বারবার তৃণমূল আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। এসএফআই-কে কলেজ কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয় না। শিক্ষামন্ত্রী কী করেন তখন?’’
সেলিম বলেন, ‘‘এই বাবুল সুপ্রিম এখন তৃণমূলের নেতা। আগে বিজেপি-তে ছিলেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে নাটক করেননি?’’
রাজ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে রেখেছে তৃণমূল সরকার। সে প্রসঙ্গে চুপ থেকে শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন যে যারা বিক্ষোভ করছে তারা কী শিক্ষার গৈরিকীকরণের প্রতিবাদ করে?
সাংবাদিকরা সেলিমকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল কবে বিজেপি-আরএসএস বিরোধী কথা বলেছে? ভোট এলে তখন কিছু ‘নাড্ডা-গাড্ডা’ বলা ছাড়া আর কী বলেছে? আরএসএস বিরোধী কথা কবে বলেছে? আরএসএস’র নাম উচ্চারণ করতে পারে? এরা সব মুখোশ পরে বসেছিল, এখন মুখোশ বেরিয়ে আসছে। সিবিআই’র চার্জশিটের সময় বোঝা গিয়েছে কে কার পক্ষে কার বিপক্ষে।’’ 
সেলিম বলেন, ‘‘যেখানে দক্ষিণপন্থীদের উত্থান হয়, সে তেহরান বা দিল্লির জেএনইউ বা যাদবপুর, ওরা বলে বিশ্ববিদ্যালয় হলো শয়তান তৈরির কারখানা। সে খোমেইনি বলেছিলেন, মোদীও বলেন, মমতাও বলছেন। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা দেয়, ছাত্রছাত্রীরা প্রশ্ন করে। এরা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে চায় না। আসলে শয়তানদের মোকাবিলা করতে হলে আরও বেশি করে বিশ্ববিদ্যালয় দরকার।’’

Comments :0

Login to leave a comment