বিধানসভায় একজনও সিপিআই(এম)’র সদস্য,সদস্যা নেই। কিন্তু বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণের অর্ধেক অংশ জুড়েই সিপিআই(এম)’র বিষোদগার করে গেলেন। কিছুদিন আগেও বলেছিলেন দুরবিন দিয়ে সিপিআই(এম)কে খুঁজতে হবে। এখন উনি, তৃণমূল সব সময় সব জায়গায় শয়নে, স্বপনে সিপিআই(এম) কেই দেখছেন। এমনভাবে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম নিয়ে যেতে হবে যাতে তৃণমূল, মুখ্যমন্ত্রীর ঘুম উড়ে যায়। শুক্রবার বিষ্ণুপুর ও দুর্লভপুরে পার্টির বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের দুটি সভায় এক কথা বলেন সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন সকালে বিষ্ণুপুরের রুপকথা সিনেমা হলে বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর ও জয়পুর এবং বিকালে দুর্লভপুরের লটিয়াবনী হাইস্কুল মাঠে গঙ্গাজলঘাটি, শালতোড়া, মেজিয়া, ও বড়জোড়া ব্লকের কর্মী, নেতৃত্বরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সভা ডাকা হয়েছিল। বিষ্ণুপুরের সভায় মহম্মদ সেলিম ছাড়াও বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র, দেবলীনা হেমব্রম, জেলা সম্পাদক অজিত পতি। বিষ্ণুপুরে সভা পরিচালনা করেন পার্টি নেতা স্বপন ঘোষ ও দুর্লভপুরে সভাপতিত্ব করেন সৌমেন্দু মুখার্জি।
দুটি সভায় সেলিম বলেন, তৃণমূল, বিজেপি এই দুই’ই আমাদের কাছে বড় শত্রু। এদের নীতি অত্যাচারে মানুষ আজ জর্জরিত। মানুষের কাছে গিয়ে তাঁকে সেটা স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। তার জন্য আমাদের আরও জনসংযোগ বাড়াতে হবে। এটিই একমাত্র উপায়। তিনি বলেন, যত আমাদের জনসংযোগ বাড়বে ততই তৃণমূল, বিজেপি প্রমাদ গুনবে। আমরা বলেছিলাম যারা মানুষদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে আমরা তাদের ঘুমতে দেবনা। দেখছেন তো এখন তৃণমূলের চোখে লালঝান্ডা কতটা আতঙ্ক ধরিয়েছে। একে আরও বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আগে কথায় কথায় সবার মুন্ডু কাটতেন। সাগরদিঘির রায়ের পর তিনি বলছেন, ডি এ দিতে পারবনা আমার মুন্ডু কেটে নাও। তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে তাঁর কথায়। সেলিম বলেন, মানুষ তার হকের ডি এ চাইছেন , মানুষ চাইছেন কাজ, স্কুল, স্বচ্ছভাবে নিয়োগ এসব চাওয়া কি অন্যায়? এতেই উনি রেগে যেতেন। এই ১২বছর ধরে যেখানে যত নিয়োগ হয়েছে, পরীক্ষা হয়েছে সবেতেই দুর্নীতি রয়েছে। সব প্রকাশ পাচ্ছে। সেলিম জানান, এখন রাস্তা দিয়ে আমরা যখন মিছিলে হাঁটি তখন মিছিল তো বড় হয়ই উপরন্তু রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ হাত নেড়ে আমাদের সমর্থন জানাচ্ছেন। তাঁদের ইঙ্গিতই হল লালঝান্ডা ফিরে আসুক। মানুষের এই ইচ্ছাকে তো আমাদের মর্যাদা দিতেই হবে। তাই সর্বশক্তি নিয়েই আমাদের সংগঠনকে মজবুত করে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ আরও বাড়াতে হবে।
Comments :0