চড়া হারে রপ্তানি শুল্ক বসানোর প্রতিবাদে নাসিকে রাস্তায় বসলেন পেঁয়াজ চাষীরা। বৃহস্পতিবার মুম্বাই-আগ্রা হাইওয়েতে অবরোধ করেন পেঁয়াজ চাষীরা।
দেশের সর্বত্র পেঁয়াজের দামে নাজেহাল অবস্থা জনতার। টমাটোর দাম গত কয়েকমাসে ৭০০ শতাংশ বেড়েছে। বেড়েই রয়েছে সব সবজির দাম। এবার পেঁয়াজ চোখের জল ঝরাচ্ছে।
দাম কমানোর লক্ষ্য জানিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ বসিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। কেন্দ্রের যুক্তি, ১ এপ্রিল থেকে আগস্টের মধ্যে ৯.৭৫ লক্ষ টন পেঁয়াজ বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে ভারতীয় পেঁয়াজের বাজার রয়েছে। তার জেরে দেশের বাজারে জোগান কমে গিয়েছে।
কেন্দ্রের এই যুক্তিতে একমত নন কৃষকরা। তাঁরা বলছেন, বেশিরভাগ সময় ফলনের দাম তাঁরা হাতে পান না। ফড়ে এবং বড় ব্যবসায়ীরা কমদামে কিনে বাজারে বেশি দামে বেচে। রপ্তানির বেলাতেও তাই হয়। এবার রপ্তানিতে শুল্ক বসালে তাদের ফলন বিক্রির সুযোগ আরও কমবে। দেশের বাজারে দাম কমাতে এই ব্যবসায়ীদের ধরা উচিত। তার বদলে সরকার চাপের মুখে ফেলছে কৃষকদের।
এদিন মুম্বাই-আগ্রা রোডের চাঁদওয়াড়ে প্রায় দেড় ঘন্টা অবরোধ করে ছিলেন কৃষকরা। পুলিশ এসে কথাবার্তা বলে তাঁদের তুলেছে। গত সোমবার থেকেই নাসিকে রপ্তানি শুল্ক বসানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে।
কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ক্রেতা বিষয়ক মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল গত মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন যে প্রতি কুইন্টাল ২৪১০ টাকা দরে ২ লক্ষ টন পেঁয়াজ কিনবে সরকার। আপৎকালীন মজুত ভাণ্ডারে থাকবে এই পেঁয়াজ। কেন্দ্রের ঘোষণা হাতে কলমে কতটা হবে তা নিয়ে সংশয় যথেষ্ট। ফলে কৃষকরা খুশি নন। বৃহস্পতিবারও দেশের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ পাইকারি বাজার লাসালগাঁও বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। কৃষি ফলন বিপণন বাজার সমিতির প্রধান কিষান ধাঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘আগে আমাদের থেকে সরকার কিনতে শুরু করুক। সেই ব্যবস্থা করা হোক। কেবল ঘোষণা করে দিলে হবে না।’’
Comments :0