লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা অধিবেশনের কাজ শুরু করার সাথে সাথে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদ জোথি মানি, রাম হরিদাস এবং টিএন প্রথাপন হিবি ইডেন। হাতে কাগজ এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা অধ্যক্ষের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কয়েকজন বিরোধী বিধায়ক কালো কাপড় দেখান অধ্যক্ষকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় অধিবেশন মুলতুবি করেন ওম বিড়লা।
অধ্যক্ষ অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেলেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধী সাংসদরা। উল্লেখ্য তৃণমূল সাংসদরা বিক্ষোভে অংশ না নিলেও নিজেদের ‘বিজেপি বিরোধী’ প্রমান করার জন্য মুখে কালো কাপড় বেঁধে নিজেদের আসনে বসে ছিলেন। এদিন কংগ্রের ডাকা বিরোধী বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রসুন বন্ধ্যোপাধ্যায় এবং জহর সরকার।
এদিন অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর সংসদে গান্ধী মূর্তির সামনে সোনিয়া গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গের উপস্থিতিতে নিক্ষোভ দেখান বিরোধী দলের সাংসদরা। তারপর তার বিক্ষোভ মিছিল করেন বিজয় চক পর্যন্ত।
সোমবার দূর্গাপুরে সাংবাদিক সম্মেলন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস যেমন ভাবে নওসাদ সিদ্দিকীকে জেলে রেখে বিধানসভায় বিরোধী কন্ঠরোধ করতে চেয়েছিল, ঠিক সেই ভাবে সংসদের ভিতর বিরোধী কন্ঠরোধ করতে চাইছে বিজেপি। আদানি নিয়ে সংসদে রাহুল যাতে না সরব হতে পারে তার জন্য এই বহিষ্কার।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধীকে যেই দ্রুততার সাথে বহিষ্কার করা হলো তা অনৈতিক। আদালত যখন তাকে সময় দিয়েছে তখন তাকে সংসদের পক্ষ থেকে তিনমাস সময় দেওয়া উচিত ছিল তা দেওয়া হয়নি। অথচ যারা দল বদল করেছে, নারদায় যারা টাকা নিয়েছে তাদের সাংসদ পদ খারিজ করছে না বিজেপি।’’
Comments :0