প্রথম বার নতুন সংসদ ভবনে পা রেখে এদিন নিজের ভাষনে তিনি বলেন, ‘‘গোটা বিশ্বে অর্থনৈতিক সঙ্কট থাকলেও ভারতের অর্থনীতি ২০২৩ সালে বিশ্বের অন্যতম বৃহত অর্থনীতি হিসাবে নিজেদের তুলে ধরেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নতুন সংসদ ভবনে এটি আমার প্রথম ভাষন। অমৃরকালের শুরুতে এই নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে, এই ভবন বার্তা দেয়, ‘এক ভারত, শ্রেষ্ট ভারত’। ভারতের গনতন্ত্র এবং সংসদের যেই ঐতিহ্য তা তুলে ধরা হয়েছে এই নতুন সংসদের ভবনের মাধ্যমে।’’ উল্লেখ্য এই নতুন সংসদ ভবনেই শীতকালীন অধিবেশন থেকে একের পর এক বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ তারা সংসদের ভিতর স্মোক হামলা সংক্রান্ত বিষয় প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলেন। সংসদকে বিরোধী শূন্য করে গনতন্ত্রকে শেষ করা হয়েছিল এই নতুন সংসদ ভবনেই।
রাষ্ট্রপতি দাবি করেছেন যে এই সরকারের আমলে অর্থীক ভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষের সংখ্যা ব্যাপক ভাবে কমেছে। তিনি বলেন, ‘‘যেই উন্নতি এখন আমরা লক্ষ করছি তা গত দশ বছরের কাজের ফসল। ছোট বেলা থেকে স্লোগান শুনেছি গরীবী হাটাও। কিন্তু এই প্রথম দেখছি দেশের একটা বড় অংশের অর্থীক ভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের উন্নতি হয়েছে।’’
রাষ্ট্রপতির ভাষন এবং বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানের মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক। গোটা বিশ্বে খাদ্য সূচকের তালিকায় ভারত ক্রমশ নীচের দিকে নামছে। জিএসটি, নোট বন্দির প্রভাবে সমাজের বড় অংশের একটা মানুষ কাজ হারিয়েছেন। স্বাধীনতার পর বেকারত্বের হার সর্বাধিক। গোটা বিশ্বে সস্তার শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে যেতে বাধ্য হচ্ছেন ভারতের মানুষজন। কয়েকদিন আগে রাম মন্দির উদ্বোধনের সময় সংবাদমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পথ শিশুদের ভিক্ষা করার ছবি বর্তমান ভারতের উদাহরন।
বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষনের পর অনেকেই টিপ্পুনির আঙ্গিকে বলতে শুরু করেছেন যে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করলো বিজেপি। ঠিকই তাই। রাষ্ট্রপতি তার ভাষনে একবারের জন্য মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো বিষয় গুলো নিয়ে কোন কথা উল্লেখ করেননি। উল্টে তিনি বলেছেন এই সরকারের আমলে দেশের উন্নতি হয়েছে।
Comments :0