জন্ম থেকেই হৃদযন্ত্রে সমস্যা দুই শিশুসন্তানের। পাকিস্তানের এই শিশুদের চিকিৎসা চলছে ভারতে। পহলেগামের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের নাগরিকদের দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে ভারত। দুই সরকারের কাছে চিকিৎসার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তাদের বাবা।
সন্ত্রাসবাদ সীমান্তের দুই পারে নাগরিকদের ক্ষতি করে কিভাবে, তার একের পর এক ঘটনা ফের সামনে আসছে ২২ এপ্রিলের পর।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামের কাছে বৈসরনে সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত হয়েছেন পর্যটকরা। নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তাঁদের। বাধা দিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন স্থানীয় ঘোড়াচালক সৈয়দ ধর্মীয় পরিচয় জেনে এমন হত্যাকাণ্ড জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী হামলার ইতিহাসেও বিরল। সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় দেশের ভেতর, বিশ্বে ধিক্কারের স্বর তীব্র হয়েছে।
হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ঘিরে পরপর একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানের নাগরিকদের দেশে ফিরতে বলা হয়েছে। ‘সার্ক’ ভিসার সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। ভারতীয়দের পাকিস্তান থেকে চলে আসতে বলা হয়েছে।
পাকিস্তানের সিন্ধের হায়দরাবাদের বাসিন্দা পরিবার দু’দেশের সংবাদমাধ্যমেই জানিয়েছেন সমস্যা। ৭ ও ৯ বছরের দুই শিশুর চিকিৎসা দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে চলছে। বহু টাকা খরচও হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘নয়াদিল্লিতে উন্নত পরিষেবার সুবিধা রয়েছে বলেই ওরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের পাকিস্তানে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে দুই শিশুর অপারেশন হওয়ার কথা আগামী সপ্তাহে। এই অবস্থায় থাকার মেয়াদ কিছুদিনের জন্য বাড়নোর আবেদন জানিয়েছি দু‘দেশের সরকারের কাছে।’’
এ পারে জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বিপন্ন করেছে সন্ত্রাসবাদ। সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্টে বাসিন্দারা বলেছেন, সত্তর থেকে আশি শতাংশের আয়ের প্রধান ভরসা পর্যটন। পর্যটকদের হত্যা করার পর একের পর এক হোটেল, রিসর্ট ফাঁকা। অটোচালক থেকে ঘোড়াচালক বা হোটেল কর্মীরা পর্যটকদের ভরসাতেই থাকেন। কাশ্মীরের মানুষের ওপর ক্ষতি ভয়াবহ।
Terrorism People
পর্যটকশূন্য কাশ্মীরে বিপন্ন জীবিকা, সন্ত্রাসবাদ অনিশ্চিত করছে পাকিস্তানের শিশুদের চিকিৎসাও

×
Comments :0