পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ সহ গাজায় ত্রাণবাহী নৌযান আটকে দেওয়ার তীব্র নিন্দা করল সিপিআই(এম)। 
সোমবার সোশাল মিডিয়ায় সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি লিখেছেন, ‘‘ইজরায়েল সরকারের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে। নৌযানের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’’
সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন বলেছে, ‘‘আন্তর্জাতিক জলভাগে নিরস্ত্র নাগরিকদের ত্রাণবাহী নৌযান আক্রমণ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে।’’ বলা হয়েছে, গাজায় ইজরায়েলের গণহত্যার পরিকল্পনার অংশ এই পদক্ষপ।
গাজায় কেবল সামরিক আগ্রাসনই চালাচ্ছে না ইজরায়েল। সেই সঙ্গে ত্রাণ বিলি বন্ধ করে দিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ দুর্ভিক্ষের সতর্কবার্তা শুনিয়ে চলেছে বেশ কয়েকমাস। তবে আমেরিকার এক নম্বর সহযোগী ইজরায়েল তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামায়নি। গাজায় ত্রাণের দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে আমেরিকা-ইজরায়েল। গত সপ্তাহেই পরপর গুলি চালানো হয়েছে ক্ষুধার্ত মানুষের সারিতে। 
আন্তর্জাতিক সংহতি উদ্যোগ ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ ত্রাণ নিয়ে গাজায় যাচ্ছিল। এই ত্রাণকর্মীরা জানিয়েছেন যে তাঁদের কয়েকজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইজরায়েলের বাহিনী এই কুকীর্তি করছে। 
জানানো হয় যে গ্রেটা থুনবার্গ সহ ১২জন আন্তর্জাতিক ত্রাণকর্মীকে অপহরণ করেছে ইজরায়েলের সেনা। সুইডনের থুনবার্গের পাশাপাশি তার মধ্যে ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, তুরস্কের নাগরিকরাও রয়েছেন। 
ভারতীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানাচ্ছে যে থুনবার্গকে ইজরায়েলের বন্দ অভিমুখে যাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রকের সূত্রের উল্লেখ করে এ খবর দেওয়া হয়েছে। ইজরায়েল জানিয়েছে বন্দরে নামলে এই ত্রাণকর্মীদের আটকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। 
প্যালেস্তাইনের বিদেশ দপ্তর ত্রাণকর্মীদের সুরক্ষার দাবি জানিয়েছে। বলা হয়েছে, গাজায় ত্রাণের জন্য আরও বেশি জাহাজ আসার অনুমতি দিতে হবে।