মৃত ব্যক্তির দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত এবং দোষী পুলিশ ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে বুধবার আড়ষা থানা এলাকা বনধের ডাক দিয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। সেই মতো সকালে এলাকাবাসীরা বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামলে পুলিশ জোরপূর্বক বনধ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। বনধ সমর্থনকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আড়ষা থানা এলাকায়। পুলিশের অতি সক্রিয়তার পরেও কিন্তু আরশার মানুষজন দোকান বাজার খোলেনি যানবাহন চলাচল করে নি। পরিস্থিতি থমথমে। মৃতের পরিবারের লোকজন এখনো অব্দি মর্গ থেকে মৃতদেহ নেয়নি। পুলিশ বারে বারে চাপ দিচ্ছে যাতে অতি দ্রুত মৃতদেহ পরিবারের লোকজন নিয়ে যায়। কিন্তু পরিবারের লোকজন সেটা নিতে নারাজ। পুলিশের ভয়ে মৃতের পরিবারের লোকজন ঘরছাড়া বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষজন। পুলিশ থেকে ওই পরিবারের বাড়ির দেওয়ালে নোটিশ রাঙিয়ে দিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মানুষজনের ডাকা আড়ষা ধর্মঘটে স্তব্ধ জনজীবন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ তারিখ আড়ষা থানা এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণু কুমারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের লোকজন অভিযোগ তোলেন যে গত ১৬ জুলাই মোবাইল চুরির অভিযোগ তুলে বিষ্ণু কুমারকে থানায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশ মারধর করে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ। বাড়িতে ফিরে সে জানিয়েছিল যে থানায় তাকে মারধোর করা হয়েছে। তারপর শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ২০ তারিখ মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ ব্যানার্জী সাংবাদিক বৈঠক করে মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখিয়ে জানিয়েছিলেন, ফুসফুস, কিডনি এবং হৃৎপিণ্ডের রোগের কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। মৃতের শরীরে নেই কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। এদিকে মৃত বিষ্ণুপদ কুমারের বাড়ির লোকজন বাড়িতে তালা লাগিয়ে অন্যত্র চলে যায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষজন।
Comments :0