MANIPUR CURFEW

মণিপুরে ভাঙল ব্যারিকেড, রাবার বুলেটে আহত অন্তত ২৫, কারফিউ ৫ জেলায়

জাতীয়

MANIPUR CURFEW

ফের উত্তেজনা বড় আকার নিল মণিপুরে। সেনার দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় ঢুকে পড়তে চাইলে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ল পুলিশ। চালানো হলো রাবার বুলেটও। বুধবার বিকেল পর্যন্ত অন্তত ২৫ জন আহত বলে খবর মিলেছে। 

দুই জাতিগোষ্ঠীর সংঘর্ষে পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিকের থেকে কতটা দূরে এদিন স্পষ্ট হয়েছে উত্তর পূর্বের মণিপুরে। মেইতেই সংগঠন সিওসিওএমআই’র ডাকে বিষ্ণুপুর জেলা থেকে শুরু হয় মিছিল। লক্ষ্য ছিল চুড়াচন্দ্রপুর, যে জেলায় কুকি জনগোষ্ঠীর মানুষ বেশি। উত্তেজনা সামলাতে আগেই ব্যারিকেড দিয়ে ‘বাফার জোন’ তৈরি করেছিল সেনা। এদিন ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে উন্মত্ত ভিড়। 

প্রশাসন জানিয়েছে পাঁচ জেলায় কারফিউ জারি করা রয়েছে। মেইতেই প্রধান উপত্যকার বিষ্ণুপুর, কাচিঙ, থৌবল, ইম্ফং পশ্চিম এবং ইম্ফল পূর্বে রয়েছে কারফিউ। আরেদিকে চুড়াচন্দ্রপুরে মোতায়েন রাখা হয়েছে সিআরপিএফ, বিএসএফ, আইটিবিপি’র মতো কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। রয়েছে আসাম রাইফেলস এবং সেনা। 

কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিজেপি সরকার বিভিন্ন সময়ে দাবি করেছে যে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক। পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলছেন, বিদ্বেষ এত তীব্র এবং গভীর যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, প্রাণহানি, উচ্ছেদের পরও মিটছে না রোষ। বরং কেন্দ্র এবং রাজ্য, দুই সরকারেই লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যতটা সম্ভব বাস্তব অবস্থা আড়াল করা। 

চুরাচাঁদপুরের পুলিশ সুপার কার্তিক মল্লাডি জানিয়েছেন, পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী পুরোমাত্রায় মোতায়েন করা হয়েছে জেলার সীমান্তে। বাইরে থেকে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। 

রাজ্যের পাহাড়ি এলাকায় মুখ্যত আধিক্য কুকিদের। তাঁদের অনুপ্রবেশকারী বলে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার চালিয়েছে বিজেপি। কাজ না থাকার জন্যও দায়ী করা হয়েছে গোটা জনগোষ্ঠীকে। কুকিরা আদিবাসী। উপত্যকা এলাকার মেইতেইদেরও আদিবাসী সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলনে নামানো হয়। মণিপুর হাইকোর্ট বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়ার পর উত্তেজনা তীব্র হয়। চুড়াচাঁদপুরে মে’র গোড়া থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ। 

এদিন বিষ্ণুপুরে মেইতেই সংগঠনের সমন্বয় মঞ্চের ডাকে দলে দলে মানুষ বেরিয়ে আসেন। তাঁদের দাবি চুড়াচন্দ্রপুর ছেড়ে যে মেইতেইরা এই জেলায় আছেন তাঁদের ফেরত যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। ব্যারিকেড বিষ্ণুপুর থেকে সরিয়ে চুড়াচাঁদপুরের দিকে নিয়ে যাওয়া হোক। রাস্তায় অবরোধেও বসে পড়েন তাঁরা। মেইতেই সংগঠনগুলি ব্যারিকেড ভাঙার ডাক দেয় এরপর। তখনই উত্তেজনা তীব্র হয়। আহতদের মধ্যে রয়েছেন মহিলারাও। 

Comments :0

Login to leave a comment