Rahul Gandhi return from parliament

সংসদে এসেও ফিরে গেলেন রাহুল, রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করবে ১২টি বিরোধী দল

জাতীয়

সুরাট আদালতের রায়ের পর দিনই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের অফিসে বৈঠকে বসলেন ১২টি বিরোধী দলের নেতারা। এদিন সকালে সংসদের অধিবেশন শুরু হলে তুমুল হই হট্টগোলের কারনে বেলা ১২ পর্যন্ত মুলতুবি হয় অধিবেশন। সেই সময়েই বৈঠককে বসেন বিরোধীরা। বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির সাথে দেখাও করেন তারা।
সূত্রের খবর কংগ্রেস সহ ১২ টি বিরোধী দলের প্রতিনিধি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দৌপদী মূর্মূর সাথে দেখা করেন। 


উল্লেখ্য এদিন কেরালার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সংসদে এলেও বৈঠকে যোগ দেননি। অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার পরপরই তিনি সংসদ চত্বর থেকে বেরিয়ে যান। 
সুরাট আদালতের রায় প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‘সুরাট আদালতের রায় শুধুমাত্র একটি আইনি বিষয় নয়। এটি একটি রাজনৈতিক বিষয়ও। ভারতীয় গনতন্ত্রের ভবিষ্যৎ এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে।’’ রমেশের কথায় এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে মোদী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রূপ ফুটে উঠেছে।  
কংগ্রেস সূত্রে খবর রাহুল গান্ধীর বিষয়টিকে কেন্দ্র করে গোটা দেশে তারা বিক্ষোভ দেখাবেন। 
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে রাহুল মন্তব্য করেন যে, ‘সর চোরেদের পদবি কেন মোদীই হয়’। কংগ্রেস সাংসদের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদী। সেই মামলায় রাহুলকে দু’বছরের কারাবাসের সাজা দিয়েছে আদালত। লন্ডলে রাহুলের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তাঁর সংসদ পদ খারিজ করার দাবিতে সরব হয়েছিল বিজেপি। এবার সুরাট আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে সেই দাবি ফের তুলেছে বিজেপি। 


২০১৩ সালে সু্প্রিম কোর্টের একটি রায়কে হাতিয়ার করেছে কেন্দ্রের শাসক দল। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী কোন বিধায়ক বা সাংসদের যদি দুই বচর বা তার বেশি কারাবাসের সাজা হয় তবে তাঁর বিধায়ক পদ বা সাংসদ পদ খারিজ হতে পারে। এছাড়া রায়তে আরও বলা হয়েছে যে সাজা শেষ হওয়ার ছয় বছর পর কোন নির্বাচনে সে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবে। 
বিজেপি’র দাবি, নিম্ন আদালত যেহেতু রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেছে, কাজেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হওয়াই উচিত। অন্য দিকে, রাহুলের আইনজীবীরা বলছেন, আদালত সাজা ঘোষণার পাশাপাশি তাঁর জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করেছে। অর্থাৎ, সাজা এখনই কার্যকর হচ্ছে না। ফলে উচ্চতর আদালতে জামিনের সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সম্ভাবনা নেই। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী সহ কংগ্রেসের একগুচ্ছ নেতা জানিয়ে দিয়েছেন, নিম্ন আদালতের এই সাজা ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে আপিল করবেন রাহুল।

Comments :0

Login to leave a comment