নতুন মরশুমের লা লিগা শুরু হয়ে গেছে । গত ম্যাচে বার্সিলোনা ৩-২ গোলে জিয়া পেয়েছিল লেভান্তের বিরুদ্ধে । রবিবার রাতে ( সোমবার ) ওভিডিওকে ৩-০ গোলে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম ম্যাচে এম্ব্যাপের পেনাল্টি গোলে ওসাসুনাকে হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় ম্যাচে ' লস ব্ল্যাঙ্কস ' রা জয় পেল বড় ব্যবধানে। ৩৭ও ৮৩মিনিটে জোড়া গোল করেন এম্ব্যাপে। ৯০+৩ মিনিটে গোল করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। মরশুমের শুরুর দিকে কোচ আলোন্সো পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন দলকে নিয়ে । ৪-২-৩-১ ছকে এই ম্যাচে দল নামিয়েছিলেন তিনি। নবাগত মাস্তানুনো সুযোগ পেয়েছিলেন প্রথম একাদশে। বাঁ দিকে রড্রিগোকে অনেকদিন পর প্রথম একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল । মাঝমাঠে সৃজনশীলতার জন্য আলোন্সো ভরসা রাখছেন আর্দা গুলারের প্রতি। সেন্টার মিডফিল্ডে ভালভার্দে ও চুয়ামেনি যথেষ্ট লোড নিয়েই খেলেন। ডিন হিউসেনের মত একজ সেন্টার ব্যাক থাকায় চিন্তা অনেকটাই কমেছে আলোন্সোর । ঠান্ডা মাথায় বল এন্টিসিপেশনই শুধু নয় ডিফেন্সচেরা পাস বাড়াতেও সিদ্ধহস্ত তিনি। চোট সারিয়ে অনেকদিন পর প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন ড্যানি কার্ভাহালও। ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিতে পিএসজির কাছে বড় ব্যবধানে হারলেও আলোন্সোর ট্যাকটিকস নজর কেড়েছিল সকলেরই। নতুন মরশুমে তাই প্রথম দিকের বেশ কয়েকটি ম্যাচে ছক নিয়ে বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে দেখা যেতে পারে। এই দলে আর্দা গুলার ও আর্জেন্টাইন মাস্তানুনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। ক্লাব বিশ্বকাপেই রিভারপ্লেটের হয়ে নিজের সৃজনশীল ফুটবলে নজর কেড়েছিলেন মেসির দেশের এই ফুটবলার। তবে দল পরিবর্তনের জল্পনার মধ্যেই অবশ্য নিজে জাত চেনাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান রড্রিগো। বাঁ দিকটা সচল রাখাই শুধু নয়। প্রয়োজনে ইনসাইড কাট করে গোলের মুখও খুলতে পারেন তিনি। ফিনিশিংয়ের জন্য রয়েছেন এম্ব্যাপে। এই ম্যাচেও যে দুটি গোল তিনি করেছেন তাতে সুযোগসন্ধানী স্ট্রাইকার হিসেবে আবারো চিনিয়েছেন নিজেকে। ৮৩ মিনিটে তার দ্বিতীয় গোলটি অবশ্য এসেছিল ভিনিসিয়াস ও তার যুগলবন্দীতেই। মাঝমাঠ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে ভিনিসিয়াস স্বার্থহীন ভাবেই বলটি পাস্ দেন এম্ব্যাপের উদ্দেশ্যে। সেই বলে গোল করেন তিনি। ভিনি ও রড্রিগোর জায়গা এক হলেও। আলোন্সো তাদের খেলাচ্ছেন দুই অর্ধে। তবে এখনও আলোন্সোর ট্যাকটিকসে নিজেদের মানিয়ে নিতে সময় লাগবে আরো বেশ কিছু ম্যাচ।
LALIGA
এম্ব্যাপে ভিনিদের দাপটে জয় রিয়ালের

×
Comments :0