প্রতীম দে ও অরিজিৎ মণ্ডল
করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডের সামনে থেকে শুরু হতে চলেছে এবিটিএ’র ডাকে এসএসসি ভবন অভিযান। শিক্ষকদের পাশাপাশি ছাত্র-যুব বিপুল সংখ্যায় এই মিছিলে অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-শিক্ষক-যুবরা এসেছেন।
ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, সরকার জানে কারা যোগ্য কারা অযোগ্য। সরকারকে সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে। আজ দাবি একটিই, তালিকা প্রকাশ কর। সুপ্রিম কোর্ট যে এক্সটেনশনের কথা বলেছে তাতে খুশি হওয়ার কিছু নেই। এতে কারও চাকরি বাঁচবে না।
এবিটিএ’র সম্পাদক সুকুমার পাইন বলেন, মূল দাবি তিনটি। স্বচ্ছ ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে। যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করতে হবে। রাজ্যে স্কুল শিক্ষার বেহাল দশা, তাকে বাঁচাতে হবে।
তিনি মনে করিয়ে দেন যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ‘গ্রুপ-সি’ এবং ‘গ্রুপ-ডি’ কর্মীদের স্কুলে আপাতত ফেরারও অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, রাজ্য সরকারের চুরির জন্য আজকে বাংলার স্কুল শিক্ষা সঙ্কটে। ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের দায় রাজ্য সরকারের। সরকারকে এর দায় নিতে হবে। যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করতে।
উল্লেখ্য, অস্বচ্ছতা ধরা পড়েনি এমন শিক্ষকদের সাময়িকভাবে স্কুলে ফেরার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু বৃহস্পতিবারের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট ৩১মে-র মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করে বিজ্ঞপ্তি হলফনামায় দাখিলের নির্দেশও দিয়েছে। স্পষ্ট করে বলেছে যে যাঁরা স্কুলে আপাতত ফিরবেন তাঁরাও নতুন পরীক্ষায় কোনও অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন না।
Comments :0