Awareness Campaign

সাপ ধরে সচেতনতার প্রচার

জেলা

Awareness Campaign

রবিবার বনগাঁ মহকুমার চাঁদপাড়া ঢাকুরিয়াতে বাবু বিশ্বাসের বাড়ি থেকে একটি লাউডগা সাপ এবং দীঘা বটতলায় রবীন সাহার ধানের চাতাল থেকে একটি গোখরা সাপ ধরলেন জনবিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মী যুক্তিবাদী মঞ্চের সদস্য নির্মল বিশ্বাস। বিগত দিনে তিনি সাপুড়ে হিসাবে সাপের পেশায় নির্ভরশীল ছিলেন। 

 

 

 

 

সাপদুটি ধরে যুক্তিবাদী মঞ্চের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করবার চেষ্টা করা হয় স্টেশন চত্বরে মানুষকে জমায়েত করে। সাপে কাটলে মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারো পরামর্শে ওঝার কাছে যাবেন না। সাপে কাটা রোগী ভালো করতে পারেন না ওঝা। সাপে কাটার একমাত্র ওষুধ এভিএস প্রয়োগেই সাপে কাটা রোগীকে ভালো করা যায়। পাশাপাশি সাপ চেনার দরকার হয় না। সাপ ধরে নিয়ে যাওয়ারও প্রয়োজন নেই। যুক্তিবাদী মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন, সাপুড়ে বা সাপের ওঝা এরা পিছিয়ে পড়া সমাজের মানুষ।

 


আর্থিকভাবে, শিক্ষা, সংস্কৃতি সমস্ত দিক থেকেই, বিশেষ করে যারা সাপ এবং বন্য জন্তুদের উপরে নির্ভর করে সংসার জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন, বন্য আইন সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হওয়ার ফলে কাজ তারা হারাচ্ছেন। আমরা যুক্তিবাদী মঞ্চের পক্ষ থেকে জনবিজ্ঞান কর্মীরা দাবি করছি এদের জন্য আর্থিক প্যাকেজের। রাজ্যের সরকার একজন সন্ত্রাসবাদী মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে আর্থিক প্যাকেজ সুনিশ্চয়তা প্রদান করছেন। 

 

আর যারা সমাজে এই সাপ এবং তাবিজ মাদুলি নিয়ে প্রতিনিয়ত সমাজকে বিভ্রান্ত এবং সমাজ সভ্যতার সংস্কৃতিকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য কেন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা হবে না? আমরা চাই এই বেদেনী সাপুড়ে এবং বাঁদর দেখিয়ে হাত দেখিয়ে যারা করে কম্মে খাচ্ছেন এদের বিকল্প আর্থিক প্যাকেজ এবং সামাজিক সুরক্ষা এদের আর্থিক এবং সামাজিক উন্নতি নিয়ে সরকার চিন্তা করুক। এদিনের সাপ ধরা এবং মানুষকে সচেতনতার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রথাগত সর্প বিশেষজ্ঞ নির্মল বিশ্বাস, মৈনক দত্ত ও সন্তু কর্মকার। তারা এই ধরনের প্রচার কর্মসূচি জেলা জুড়ে চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তাঁরা বলেন বিগত এক বছরে ৮ জন রোগীর খবর তারা জানেন যারা ওঝার কাছে গিয়ে মারা গিয়েছেন। 
 

Comments :0

Login to leave a comment