জয়নগরে সিপিআই(এম) নেতা এবং কর্মীদের ওপর ব্যাপক মারধর চালালো তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনী। আহত হয়েছে পার্টিনেতা এবং প্রাক্তন বিধায়ক রামশঙ্কর হালদার। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে সিপিআই(এম)।
এলাকায় ছিল বকুলতলা থানার পুলিশ। কিন্তু পুলিশ নিশ্চুপ দর্শকের ভূমিকা নেয়। হামলার খবর আসার পরই এলাকায় রওনা দিয়েছেন প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতা কান্তি গাঙ্গুলি এবং কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
সোমবার সকালে জয়নগরের গড়দেওয়ানিতে ছিল কর্মীসভা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতিতে এই কর্মীসভার ডাক দিয়েছিল সিপিআই(এম)। পার্টিকর্মীদের সঙ্গে সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন পার্টির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রামশঙ্কর হালদার। কুলতলির প্রাক্তন বিধায়কও তিনি। সভায় যাওয়ার পথেই হামলা চালায় তৃণমূল কংগ্রেস।
স্থানীয় পার্টিকর্মীরা জানিয়েছেন যে তৃণমূলের কুড়ি-পঁচিশ দুষ্কৃতীর বাহিনী ঘিরে ফেলে রামশঙ্কর হালদারকে। তাঁকে টানাটানি করা হতে থাকে। জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। চলে ব্যাপক মারধর। সঙ্গের পার্টিকর্মীরা হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদেরও ওপরও চলে নির্যাতন।
তৃণমূলের অসভ্যতার তীব্র নিন্দা করেছেন সিপিআই(এম) দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ি। দোষী প্রত্যেককে গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, তৃণমূল ভয় পেয়েছে। বহু মানুষ যোগ দিতে আসছিলেন সভায়। সাগরদিঘির উপ নির্বাচনে হারের পর তৃণমূল আতঙ্কিত। গোড়াতেই আক্রমণাত্মক হতে চাইছে। যতই আক্রমণ করুক, প্রতিরোধ করেই সভা হবে।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও বামপন্থীদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দিতে তৎপরতা বাড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেতারাই সংবাদমাধ্যমে হুমকির ভাষা জুগিয়ে চলেছেন বিনা বাধায়। কেবল বামপন্থীরাই নন, ১১ মার্চ ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের পর্যন্ত হেনস্তা করতে ছাড়েনি তৃণমূল। পুরো ঘটনায় বরাবরের মতো মুখ বুজে রয়েছেন দলের নেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
এদিন যেভাবে পুলিশের সামনে বেপরোয়া হামলা হয়েছে তাতে তীব্র প্রতিক্রিয়া পড়েছে এলাকায়। সিপিআই(এম) কর্মীরা জানাচ্ছেন যে তৃণমূলের বাহিনীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টাই করেনি পুলিশ। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হামলা হতে দিয়েছে।
Comments :0