"আর জি কর হত্যাকাণ্ডের মামলা নিজে থেকে নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপর সেই মামলা যথাসম্ভব কোল্ড স্টোরেজে পাঠিয়ে দিল আদালতই।"
শনিবার ধর্মতলায় অভয়া মঞ্চের "জনতার চার্জশিট' কর্মসূচিতে এভাবেই ক্ষোভ জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি।
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ৯০ দিনের মাথায় ধর্মতলা রানি রাসমণি রোডে অভয়া মঞ্চের ডাকে জনসমাবেশ করা হয়। জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস সহ আরো প্রায় ৮০টি সংগঠনের মিলিত মঞ্চ হলো এই 'অভয়া মঞ্চে'।
শনিবার বিকেল পাঁচটায় প্রতিবাদী গানের মধ্য দিয়ে তাঁদের কর্মসূচি শুরু হয়। তারপর 'জনতার আদালত' নামে একটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। তারপর অভয়া মঞ্চের মূল কর্মসূচি 'জনতার চার্জশিট' তা সকলের সামনে প্রকাশ করা হয়। সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। অভয়া মঞ্চের ডাকে তাদের কর্মসূচিতে আসেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, "কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মামলাটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিবিআই’র হাতে তদন্ত প্রক্রিয়া ন্যস্ত করে দ্রুত বিচারের দিকে পদক্ষেপ নিচ্ছিলেন। তখন সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলাটিকে নিয়ে নিলেন। সুপ্রিম কোর্টে কেউ মামলা নেওয়ার আবেদন করেনি। সুপ্রিম কোর্ট নিজে থেকে মামলাটিকে নিয়ে গিয়ে যতটা সম্ভব 'কোল্ড স্টোরেজে' পাঠিয়ে দিল। সুপ্রিম কোর্টের এই ভূমিকা নিন্দনীয়। আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সুপ্রিম কোর্টের এই ভূমিকার নিন্দা করছি।’’
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গাঙ্গুলি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট মামলাটিকে নিয়ে কী করলেন দিনের পর দিন যে সাক্ষ্য প্রমাণ লোপাট হচ্ছে, অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে এই দিকে নজর না দিয়ে কবে আন্দোলনরত ডাক্তারদের কাজে যোগদান করবেন, হাসপাতালে কী সুরক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে, সিভিক ভলেন্টিয়াররা কিভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন, এই ব্যাপারে কতগুলো নির্দেশ দিয়ে গেলেন। মূল মামলায় কোনও সুরাহা বা নির্দেশ দিতে পারলেন না। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ দিনের পর দিন যাকে বলে 'তারিখ পে তারিখ' সেই ভাবে মামলাটিকে পিছিয়ে দিলেন।’’
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের এটা বোঝা উচিত ছিল যে শুধু পশ্চিমবাংলা নয় সারা ভারত তাকিয়ে এই মামলার ফয়সালার দিকে। আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি সারা ভারতবর্ষের আমজনতা সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকায় হতাশ হয়েছেন"।
RG KAR PROTEST
সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকায় হতাশ সারা দেশ, খেদ প্রাক্তন বিচারপতির
×
Comments :0