trump ceasefire

সংঘর্ষবিরতির ‘কৃতিত্ব’ জাহির ট্রাম্পের, থার্ড আম্পায়ারের হস্তক্ষেপে চুপ মোদী

আন্তর্জাতিক

‘‘হাজার বছরের কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে কথা চলবে ভারত এবং পাকিস্তান দু’দেশের সঙ্গেই।’’
রবিবার নিজের মালিকানাধীন সোশাল মিডিয়া ‘ট্রুথ সোশাল’-এ সরাসরি এমন ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। 
ট্রাম্পের সংযোজন, ‘‘আমি গর্বিত যে ভারত এবং পাকিস্তানকে ঐতিহাসিক এবং নায়কোচিত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করতে পেরেছে আমেরিকা।’’
কাশ্মীর বিবাদের বয়স হাজার বছর নয়। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশ ট্রাম্পের ইতিহাসবোধ নিয়ে প্রশ্ন আপাতত না তুললেও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে ‘থার্ড আম্পায়ারের’ সগৌরব ঘোষণার দিক নিয়ে উদ্বেগ জানাচ্ছে। উদ্বেগ জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা নিজেও।
নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সবরকম রাস্তা বন্ধ করে। এমনকি অতীতে অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রিত্বে বিজেপি জোট সরকারের এমন নীতি ছিল না। ভারতের মধ্যে দু’দেশের আলোচনা প্রক্রিয়ার কথা তুললে, সরকারি স্তর থেকে বা রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবারের উগ্র জাতীয়তাবাদী বাহিনী ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিতেও দেরি করেনি। পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে অনাগ্রহী মোদী সরকার মেনে নিয়েছে তৃতীয় শক্তির হস্তক্ষেপ।
বামপন্থী সহ দেশের বড় অংশই থার্ড আম্পায়ারের হস্তক্ষেপের বিরোধী। বামপন্থীরা সংঘর্ষবিরতিকে স্বাগত জানিয়েও আমেরিকার হস্তক্ষেপে প্রশ্ন তুলেছে। সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য এবং রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন যে সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়েই কূটনৈতিক চাপ পাকিস্তানের ওপর রাখতে হবে। তার জন্য আলোচনা প্রক্রিয়া চালু করা উচিত। কিন্তু আমেরিকার হস্তক্ষেপ সম্পর্কে সরকারকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। 
ট্রাম্পের হস্তক্ষেপকে খোলাখুলি সমর্থন জানিয়েছে পাকিস্তান। সেদেশের বিদেশ মন্ত্রক রবিবার বিবৃতিতে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ‘ট্রাম্পের আগ্রহের’ প্রশংসা করে দিয়েছে। 
তার আগে, শনিবার আমেরিকা উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স বলেছিলেন যে ভারত এবং পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি ছাড়াও একাধিক বিষয়ে আলোচনায় বসবে কোনও নিরপেক্ষ জায়গায়। শনিবার ভারত বা পাকিস্তানের তরফে সরকারিভাবে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণার আগেই সেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। 
রবিবার পর্যন্ত আমেরিকা এবং ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গে মুখ খোলেনি ভারত। ‘থার্ড আম্পায়ার’ প্রসঙ্গ অস্বস্তিতে রেখেছে মোদীকে।

Comments :0

Login to leave a comment