CUBA HEALTHCARE USA

কিউবার চিকিৎসা পরিষেবা নিতে পারবে না অন্য দেশ! ফতোয়া আমেরিকার

আন্তর্জাতিক

এবার কিউবার চিকিৎসা দল অন্য দেশে পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ট্রাম্প প্রশাসন। আমেরিকার কুখ্যাত নিষেধাজ্ঞা কেবল কিউবার ওপর নয়, যে যে দেশ চিকিৎসা পরিষেবা নেবে তারাও সমস্যায় পড়বে। 
রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হওয়ার পর থেকে সমাজতান্ত্রিক কিউবার বিপক্ষে পরপর পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। 
জো বাইডেন প্রশাসন কিউবাকে ‘সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা রাষ্ট্রের’ তালিকা থেকে বাদ রাখতে বাধ্য হয়েছিল। বস্তুত দক্ষিণ আমেরিকায় আমেরিকা একঘরে হয়ে পড়তে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেয় বাইডেন প্রশাসন। এবার ট্রাম্প সেই সিদ্ধান্ত উলটে দিয়েছেন। ফের কিউবাকে আনা হয়েছে ওই তালিকায়। 
চলতি সপ্তাহেই নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। 
আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিও নিষেধাজ্ঞা জারি করে বলেছেন, ‘‘কিউবা চিকিৎসাকর্মীদের অন্য দেশে যেতে বাধ্য করে। তার বিনিময়ে বিদেশি মুদ্রা আয় করে। যে দেশ এই পরিষেবা নেবে তাকেও সমানভাবে দোষী বলে বিবেচনা করা হবে।’’
সঙ্কটে থাকলেও কিউবার চিকিৎসা কর্মী এবং পরিষেবা সারা বিশ্বে সমাদৃত। বস্তুত ১৯৬৩-তে প্রথম কিউবা চিকিৎসকদল পাঠিয়েছিল আলজেরিয়ায়। ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনকে পরাজিত করে স্বাধীন হয়েছিল আলেজেরিয়া। তারপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন বিপন্ন দেশে ত্রাণ এবং চিকিৎসা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কিউবা। কোভিড সঙ্কটে যখন আমেরিকা এবং ইউরোপের ধনী দেশগুলি নাজেহাল, তখনও কিউবা অন্য দেশে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়া চিকিৎসক দলও পাঠিয়েছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য।
কিউবার রাষ্ট্রপতি মিগুয়েল দিয়াজ কানেল বলেছেন, ‘‘আমেরিকার বিদেশ দপ্তরকে জানাতে হবে, কিউবার চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে আমেরিকা কোন কৃতিত্ব দেখাচ্ছে। বহু দেশ এই পরিষেবার ওপর নির্ভর করে।’’ 
কিউবা বরাবরই আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে। কিউবার বিপ্লবের নেতা ফিদেল কাস্ত্রো ঘোষণা করেছিলেন, ‘হয় সমাজতন্ত্র নয় মৃত্যু’। মতাদর্শে অবিচল থেকেই কিউবার এই অবস্থান সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা। 
বিশ্বের ৬০টি দেশে কিউবা চিকিৎসা পরিষেবা দেয়। বিপ্লবের পর থেকে ১৬০ দেশে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৬০ হাজার চিকিৎসা কর্মী পাঠিয়েছে ছোট্ট কিউবা। 

Comments :0

Login to leave a comment